JuboKantho24 Logo

আজ পবিত্র হজ্ব

আজ পবিত্র হজ্ব। এটি ইসলামের ৫ স্তম্ভের অন্যতম এবং ফরজ ইবাদাত।

আরবি জিলহজ্ব মাসের ৯ম দিনে আরাফার ময়দানে ফরজ বিধানটির মূল কাজ ‘উকুফে আরাফা’ সম্পাদন করা হয় বিধায় এই দিনটিকে আরাফা দিবসও বলা হয়।

এদিন উকুফে আরাফা বা সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফায় অবস্থানের যে ফরজ হুকুম রয়েছে তা পালনার্থে হাজ্বিগণ মিনায় রাত্রিযাপন শেষে ফজরের পর পর আরাফার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। আকাশ বাতাস তাকবির ও তালবিয়ার ধ্বনিতে মুখরিত করে তুলেন। সুন্নত হাজিরা স্বরূপ বলতে থাকেন, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা, লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।

অর্থাৎ, আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি আপনার ডাকে হাজির। আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, আপনার কোনো অংশীদার নেই। আমি হাজির। নিশ্চয় সমস্ত প্রশংসা ও নিয়ামত ও রাজত্ব একমাত্র তোমারই। তোমার কোনো শরীক নেই।

এদিন হাজ্বিদের জন্য যোহর ও আছরের নামাজ একত্রে পড়া আবশ্যক। তারা যোহর ও আছরের নামাজ একত্রে আদায় করেন। তাকবির ও তালবিয়া পাঠের পাশাপাশি তাওবা এস্তেগফার করতে থাকেন।

আরাফার ময়দানে যোহর ও আছর নামাজ একত্রে আদায়ের পূর্বে হজ্বের খুতবা দেওয়া হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণে হজ্বের খতিব সাহেব হামদ ও সালাতের পাশাপাশি খুতবার মাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে তাদের করণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তাই হজ্বের খুতবা হাজ্বি ও সকল মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবার হজ্বের খুতবা দিবেন হারাম শরীফের ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. মাহের আল মু’আইকিলী। খুতবাটি বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু সহ মোট ২০ ভাষায় সরাসরি সম্প্রচারের কথা রয়েছে।

চন্দ্রবর্ষের নিয়ম অনুসারে সূর্যাস্তের সাথে সাথে ১০ জিলহজ্বের প্রবেশ ঘটে। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফায় অবস্থানের পর হাজ্বিগণ মাগরিব আদায় না করে মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করবেন। সুন্নাহ স্বরূপ পরদিন ফজর পর্যন্ত মুজদালিফাতেই অবস্থান করবেন। সময়টি বেশি বেশি জিকির ও এস্তেগফারে কাটাবেন।

মুজদালিফা হলো আরাফা ও মিনার মধ্যবর্তী একটি স্থান। এই স্থান ত্যাগের পূর্বে হাজ্বিগণ তাদের ‘রমী’ বা ‘কংকর নিক্ষেপের কাজ’ সম্পাদনের জন্য কংকর সংগ্রহ করেন। ভোরে সূর্য উদিত হওয়ার আগে আগেই মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মিনায় পৌঁছে জামরায়ে আকাবায় কংকর নিক্ষেপের কাজ সম্পাদন করেন। জামরায়ে আকাবায় হাজ্বিদের ৭টি কংকর নিক্ষেপ করার কাজকে ‘রমী’ বলা হয়।

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ