নতুন ছাত্রদের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর গত ১১ মে থেকে উপমহাদেশের বিশ্ববিখ্যাত ধর্মীয় বিদ্যাপীঠ দারুল উলূম দেওবন্দে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। সেই মোতাবেক জামে রশিদে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলাহী মজলিস অনুষ্ঠিত হয়, এতে সভাপতিত্ব করেন দারুল উলূম দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা মুফতি আবুল কাসেম নোমানী এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা সালমান বাজনুরী।
এদিকে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানী তার মূল বক্তব্যে ছাত্রদেরকে মূল্যবান উপদেশ দিয়ে দোয়া করেন এবং বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোকপাত করে পূর্ণ মনোযোগ ও পরিশ্রমের সাথে জ্ঞান অর্জনের আহ্বান জানান। মাওলানা মাদানী তার বক্তৃতায় দারুল উলূম দেওবন্দের খেদমতের কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে বিশ্বে যেখানেই দ্বীনি খেদমত করা হচ্ছে, তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দারুল উলূম দেওবন্দ ও এর ফজিলতের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। মাওলানা মাদানী ছাত্রদেরকে উপদেশ দিয়ে বলেন, তারা যেন অযৌক্তিক বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে পরিহার করে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনে তাদের সর্বাত্মক মনোযোগ দেয়। তিনি কিতাবের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, শিক্ষার্থীদের কিতাব থেকে বিচ্ছিন্ন হলে চলবে না। তিনি শিক্ষার্থীদের সাবধানে জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রিয় শিক্ষার্থীরা! মোবাইল ফোন, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, কারণ এখন মাদ্রাসাগুলোকে দুর্বৃত্তদের দ্বারা টার্গেট করা হচ্ছে, তাই মাদরাসার লোকজনকে খুবই সতর্ক ও কৌশলী হতে হবে।
দেওবন্দের শিক্ষা সচিব মাওলানা হুসাইন আহমদ হরিদ্বারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে নতুন শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন মেনে চলার পরামর্শ দেন। মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ সালমান বাজনুরী, নাজিমে দারুল-ইকামা মাওলানা মুনিরুদ্দিন কাসমী এবং মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আব্বাস কাসমী প্রমুখও তাদের বক্তব্যে ছাত্রদের জন্য অত্যন্ত দরকারী এবং বাস্তবমুখী বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করেন। পরিশেষে মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস মাওলানা মুফতি আবুল কাসেম নোমানীর মূল্যবান উপদেশ ও দোয়ার মাধ্যমে অধিবেশন শেষ হয়।