বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার আহ্বানে বৈঠকে বসেন সচেতন কওমি ছাত্রসমাজের একটি প্রতিনিধি দল। এসময় মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক শিক্ষার্থীদের নিশ্চিত করেন, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর খাস কমিটি থেকে (ফয়জুল্লাহকে) বহিস্কৃত হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি দুইজনের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তারা হলেন, ফ্যাসীবাদের দোসর মৌলবী উবায়দুর রহমান খান নদভী ও আনাস মাদানী। উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন বেফাক মহাসচিব।
এর আগে, গত ২৫ ডিসেম্বর বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করেন সম্মিলিত কওমি মাদরাসা ফোরাম— সচেতন কওমি ছাত্রসমাজ। তারা দুই দফা দাবি জানিয়ে বেফাককে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় । বেফাক মহাসচিব জানিয়েছেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফয়জুল্লাহকে খাস কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সচেতন কওমি ছাত্রসমাজের দুই দফা হলো,
১) ৫ই আগষ্ট পরবর্তী চারমাস অতিবাহিত হলেও শিক্ষাবোর্ড বেফাককে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করা হয়নি। ৭২ ঘন্টার মধ্যে উবায়দুর রহমান খান নদভী, ফয়জুল্লাহ ও আনাস মাদানীসহ ফ্যাসিস্টের সকল দোসরদের অপসারণ করতে হবে। জরুরী বৈঠক ডেকে বেফাক ও হাইয়াতুল উলয়ার সকল দায়িত্ব থেকে তাদের অব্যাহতি প্রদান করতে হবে।
২) ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অকার্যকরভাবে যে কওমী সনদের মূলা ঝুলিয়েছিল তা কার্যকর করতে এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অতিসত্বর শিক্ষাবিদ ও কওমী মাদরাসা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সনদের কার্যকারিতা নিশ্চিতকরণে বেফাককে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বেফাককে বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের বহিস্কারাদেশের ক্ষেত্রে যদি বিলম্ব হয় তাহলে আমরা ধরে নেব বেফাকে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রভাব বিস্তার করছে। সেক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষাবোর্ডকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে আমরা পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।