একটা বিপ্লবী সরকার, ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে বেশি ভদ্রতা দেখাতে শুরু করেছে আমার প্রথম থেকেই মনে হয়েছে। উচিত ছিল ফ্যাসিস্ট মাফিয়া সরকারের এক্টিভ নেতাদের জেলা,থানা,ওয়ার্ড ভিত্তিক লিষ্ট করে গ্রেফতারে অভিযান চালানো।কিন্তু সরকার করেনি,উচিত ছিলো এতো বেশি নমনীয় না হওয়ার অথচ দেখা যাচ্ছে তাদের ডাইরিতে কঠোরতা বলতে কিছু নেই! উচিত ছিল ফ্যাসিস্ট মাফিয়া মিডিয়াগুলো থেকে ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের নামের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া,তাদেরকে তাদের কর্মস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া,অথচ কিচ্ছু করা হয়নি!এখন মাফিয়া লীগের মিডিয়াগুলো তাদের পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে এখনো সহযোগিতা করে যাচ্ছে!আজকে সময় টিভি ইন্ডিয়ার সুরে সুর মিলিয়ে হেডলাইন করেছে,তারা বলেছে ‘ আইনজীবিকে হিন্দু মনে করে হত্যা করেছে’ কতো বড় মিথ্যাচার, ভাবাযায় বিষয়টি?? এতো বড় কলিজা পেলো কোথায় সময় টিভি?? ইসকন অনুস্বারীরা আমাদের মুসলিম আইনজিবিকে হত্যা করলো আর হেডলাইন করলো হিন্দু মনে করে আইনজীবীকে নাকি মুসলিমরা হত্যা করেছে?? সময় টিভির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া উচিত আজকের এই হেডলাইনের অপরাধে। বেশি ভদ্রতা,বেশি নমনীয়তা দুর্বলতার লক্ষণ!বিপ্লবী সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল হলো ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির হাতে শপথ গ্রহণ করা! উচিত ছিলো বিপ্লবিদের নিয়ে বিপ্লবি সরকার করা,বর্তমান সরকার হলো বুইড়া সরকার,যাদের অধিকাংশই নড়াচড়া করতে পারে না!বসলে উঠতে পারেনা,উঠলে বসতে পারে না,বসলে হাটতে পারে না,এসব উপদেষ্টা দিয়া আর যাইহোক আওয়ামী লীগের উতপাত মুকাবেলা করা সম্ভব হবে না!কারন আওয়ামর লীগ হলো আন্দোলনকারী দল,মাঠেময়দানে কাম করার দল।এইসব মরালোক দিয়ে তাদের দমন করা সম্ভব হবে না!
তাই দ্রুত উপদেষ্টাদের মধ্যে আরো কিছু সমন্বয়দেরকে এবং বিপ্লবীদেরকে সংযোগ করা হোক,কয়েকজন আলেমদের নেয়া হোক সাথে সাথে দুই সিটির দায়িত্ব দুইজন সমন্বয়কারীদের কে দেওয়া হোক কিংবা বিপ্লবীদের সহযোগীদের কে দেয়া হোক,এতে নগরবাসী সিটি কর্পোরেশনের সুযোগ সুবিধা পাবে, অন্যথায় ঢাকার মানুষ উত্তেজিত হলে এই সরকার কোনভাবেই দেশকে সামলাতে পারবেনা।ঢাকা আওয়ামী লীগের নেতাদের দখলে ছিল বিগত ১৬ বছর যাবত।এর আগেও ছিলো আওয়ামীলীগের হাতে। এই জন্যই আন্দোলন সংগ্রাম করে,লগি-বইঠা দিয়ে জামাত বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছে,এইজন্য ঢাকাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে আর ঢাকাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে দুই সিটিকে শক্তিশালী করতে হবে,দুই সিটিকে শক্তিশালী করতে হলে বিপ্লবী প্রশাসকের প্রয়োজন হবে।বিগত সরকারের আমলা কামলা দিয়া মেয়রের কাম হবে না।
চেতনাহীন,বিপ্লবী মন-মানসিকতাহীন উপদেষ্টা সরকার দিয়া আর যাই হোক ১৬ বছরের ফ্যাসিজম বিলুপ্ত করা সম্ভব না।বর্তমান সরকারের অনেকের চেহারা সুরত দেখলে মনে হয়না ওনারা বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা! তাদের তৎপরহীনতা একটা দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তা তারা এখনো অনুভব করছে বলে মনে হয় না!আমি বরাবরের মত এখনো এই সরকারের অধিকাংশ উপদেষ্টা বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্যতা আছে বলে মনে করি না।রাজধানীবাসীকে সবধরনের নাগরিক সুবিধা দিতে হবে।ভোগ্যপণ্যের দাম নাগালের মধ্যে আনতেই হবে এর কোন বিকল্প নেই। নইলে সাধারণ মানুষও সুযোগ পেলে রাস্তায় নেমে পড়বে,তখন ছাত্র প্রশাসন কেউ তা সামাল দিতে পারবে না।উপদেষ্টা সরকারকে বিব্রত করতে ভারত ইসকনকে ব্যাবহার করছে তা তাদের কাজেকর্মে বুঝা যাচ্ছে। সুতরাং ইসকনে সাড়াশি অভিযান চালাতে হবে।যেসব যায়গা থেকে প্রতিবিপ্লব হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে হবে সাথে সাথেই সেখানে এ্যাকশন নিতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসরদেরকে দৌড়ের উপরে রাখতে হবে সে যে-ই হোক না কেন।দৌড়ানোর উপরে কোন ঔষধ নাই।তাই বিপ্লবী ছাত্রদের বিপ্লবী সরকার গঠন করতে হবে,প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদে সংযোজন বিয়োজন করতে হবে,এখানে লজ্জা শরম রেখে লাভ নাই।কাম করবার জন্যই তো আপনাকে দায়িত্ব দিয়েছে? যদি না পারে স্বসম্মানে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বের করে দিতে হবে।শিক্ষা উপদেষ্টাকে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে নিয়োগ দিন,এসব দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম দমানো যাবে না।রাস্তাঘাট মেরামতের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে,রাস্তাঘাটে যেই পরিমান ধুলাবালি দেখা যাচ্ছে মনে হয় এই শহর বসবাস উপযোগী না,তাই নাগরিকদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।আগামী ৩ মাস প্রয়োজনে সব ধরনের মিছিল মিটিং বন্ধ ঘোষণা করে দিতে হবে।এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।