১৫ই আগস্টকে জাতির কাছে বিশেষ দিন পরিণত করা পতিত স্বৈরাচার হাসিনা চোরের মত লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে এক বছরেরও বেশি সময় হলো। এরপরও যেনো ফ্যাসিস্টের দোসরদের পালন করতে হবেই দিনটি। শেখ মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার মৃত্যু বার্ষিকীতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফুল দিতে এসে গণপিটুনির শিকার হোন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। এরপর বিক্ষুব্ধ আমজনতা তাকে পুলিশে তুলে দেয়। শেষ পর্যন্ত জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতের নির্দেশে তার ঠাঁই হয়েছে কারাগারে। যে বিষয়টি নিয়ে এই রিকশাচালকের পক্ষে রীতিমতো গলা ফাটাচ্ছেন নামধারী ইউটিউবার ভিউ ব্যবসায়ীরা।
রিকশাচালক আজিজুর রহমানের প্রতি তাদের দরদ যেনো উথলে পড়ছে। অথচ শেখ মুজিব ৭১ এর পর ৭৫ পর্যন্ত কি করেছে কিভাবে দেশ চালিয়েছে তা না জেনেই এতো উতলা অনেকে। সেসময় শেখ মুজিব ও তার পরিবারের স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্তির জন্য এক সফল সেনা অভ্যুত্থানে স্বপরিবারে নিহত হোন শেখ মুজিব। অপরদিকে তো তার মেয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিগত ১৬ বছর দেশটাকে বানিয়েছিলো তার বাবার সম্পত্তি। তার বিপক্ষে আওয়াজ তোলাদের বাবার পথে হেটেই করেছেন খুন, গুম।
অবশেষে ফ্যাসিস্ট হাসিনা যখন পালালো ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে দেশজুড়ে ইতিহাসের জঘন্যতম নারকীয় এক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে তখন তার দলের সুবিধাভোগী ক্যাডার বাহিনী ছাত্রলীগ, যুবলীগ নামধারীরা আত্মগোপনে গিয়ে হয়ে উঠলেন রিকশাচালক। খেয়াল করে দেখুন পতিত স্বৈরাচার পালানোর পর থেকে ঢাকা শহরে একটু সুযোগ পেলেই আন্দোলনে নেমে পড়ে কথিত রিকশাচালক নামধারী সব নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগের ক্যাডাররা।
নির্ভরযোগ্য বেশ কিছু সূত্রের তথ্যমতে, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী ২৪ এর অভ্যুত্থানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ছাত্রলীগের চ্যালারা দেশ ছেড়ে পালাতে না পেরে ঢাকায় আশ্রয় নিয়েছে রিকশাচালকের ছদ্মবেশে। আর তারাই একটু সুযোগ পেলেই আবেগ দেখায় তাদের দলীয় প্রধান ফ্যাসিস্ট হাসিনার বাবার প্রতি। ১৫ই আগস্ট ঠিক সেটির প্রতিফলনই যেনো দেখিয়েছেন রিকশাচালক আজিজুর রহমান।
এদিকে এই রিকশাচালককে কারাগারে পাঠানো নিয়ে যেসব ইউটিউবরা মায়া কান্না দেখাচ্ছেন তারা কেউই সাংবাদিক নন বরং ভিউ ব্যবসায়ী। কিছু ভিউ অতিরিক্ত পাবার আশায় তারা দেশ ও জাতির সাথে বৈঈমানী করছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এসব ক্যাডারদের পক্ষ নিয়ে। বিভিন্ন সময় এসব ইউটিউবারদের দেখা যায়, সাংবাদিকদের কাজে বাঁধাগ্রস্ত করতে। মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর সাংবাদিকরা কোন খবর সংগ্রহে গেলে উল্টো এসব ইউটিউবারদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। হাতে একটি স্মার্টফোন আর সাথে একটি ট্রাইপড ব্যাস হয়ে গেলো তাদের সাংবাদিকতার হাতিয়ার। শিক্ষাগত যোগ্যাতার যেমন বালাই নেই তেমনি একটি নিউজের ধারা কি হবে তাও অজানা তাদের। তাদের লক্ষ্য শুধুই যেনো ভিউ কামানো। তা হোক কারও প্রতি মায়াকান্না দেখিয়ে বা জাতির সাথে বেঈমানী করে।
ধানমন্ডি ৩২ এ ঘটে যাওয়া সেদিনের ঘটনায় স্পষ্ট যে আজিজুর রহমান প্রফেশনাল রিকশাচালক নন। যদি তাই হতো তাহলে এত কষ্ট করে উপার্জিত টাকা কেন একজন ফ্যাসিস্টের বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যয় করলো? যেখানে শেখ মুজিব নিজেও প্রশ্নবিদ্ধ ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী তার আচরণ আর দেশ চালানোর পলিসি নিয়ে।
রিকশাচালক আজিজুর রহমানের যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর কথা সেখানে তিনি ৪’শ টাকা খরচ করে ফুল কিনে এনেছেন শেখ মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এটি যে সাজানো নাটক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না কোনভাবেই। শুধু কি রিক্সা চালক? নানা ছদ্মবেশে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে আছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। যারা একটু সুযোগ পেলেই আচরণ করে আওয়ামী পন্থী মায়াকান্না দেখায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার বাবার প্রতি।
আর অন্যদিকে এসব ভিউ ব্যবসায়ী ইউটিউবদেরও মনে প্রাণে ফ্যাসিস্ট হাসিনা প্রীতি। তাইতো সাংবাদিক না হয়েও নিজেরাই ইউটিউব চ্যানেল খুলে বসে সেখানে হাসিনা পন্থী মতবাদ ঢুকিয়ে স্বৈরাচারের দোসর রিকশাচালকের প্রতিও মায়া কান্না দেখাতে পটু তারা। এ যেনো ইউটিউবার নামধারী সমাজের কীট ইউটিউমার। আর আওয়ামী লীগের কেউ যদি পকেট ভরিয়ে দেয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই ওদের।