আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ভারত!

প্রবাদে রয়েছে- ‘আত্মীয়তা বদল করা যায়, কিন্তু প্রতিবেশী বদল করা যায় না’। বাংলাদেশের বড় প্রতিবেশী দেশ ভারত। একসময় ভারতের শাসনভার মুসলমানদের হাতেই ছিল। বদলে গেছে সেই ভারত। বর্তমানে হিন্দুত্ববাদী দেশটির সঙ্গে প্রতিবেশী কোনো দেশের সুসম্পর্ক নেই। ইসরাইলকে যেমন প্রতিবেশী দেশগুলো শত্রæরাষ্ট্র মনে করে; ভারতের অবস্থাও অনেকটা তেমনি। হিন্দুত্বে ডুবে থাকা চাণক্যনীতি দেশটি কার্যত প্রতিবেশী থেকে একঘরে। কারণে-অকারণে অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অপরাধীদের আশ্রয় দেয়ার’ অভিযোগ তুলতে অভ্যস্ত দেশটি এখন প্রতিবেশী দেশের অপরাধীদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের অপরাধীরা দেশটিতে প্রকাশে ঘুরছে; ষড়যন্ত্র করছে; অথচ দেশটি সে অপরাধীদের দমনের বদলে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

‘এটিই ইতিহাসের শিক্ষা যে, কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না’-কার্ল মার্কস। ভারত এবং আওয়ামী লীগ নেতারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৫০ বছর আগে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের নতুন আবির্ভাব ঘটেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে ভারতের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে আবদুল কাদের সিদ্দিকী গংরা তথাকথিত ‘যুদ্ধের দামামা’ বাজানোর চেষ্টা করে ধরা খেয়েছেন; এখন পলাতক শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের খুনি-সন্ত্রাসীরা ভারতের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে থেকে ড. ইউনূস সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। তবে ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধীকে পরাজিত করে জনতা পার্টির মোরারজি দেশাই ক্ষমতায় এসে কাদের সিদ্দিকী গংদের অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করেন। ফলে তাদের শরণার্থী হয়ে বহুদিন ভারতে থাকতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে খুন-গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানা অপরাধে অভিযুক্ত মাফিয়াতন্ত্রের আওয়ামী লীগের হাজারো অলিগার্ক ভারতে পালিয়ে গেছে। তারা সেখানে রীতিমতো ‘আওয়ামী লীগ অফিস’ খুলে বাংলাদেশ আক্রমণের ষড়যন্ত্র করছে। অথচ মোদি সরকার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। ভারতে বসে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক‚টনৈতিক চ্যানেলে আহŸান জানালেও ভারত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

উল্টো খুনের দায়ে অভিযুক্ত হাসিনা গংদের বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের কথা অস্বীকার করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, হিন্দুত্ববাদী ভারত কী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে গেল? দিল্লি একসময় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) নেতা অনুপ চেটিয়া, পরেশ বড়ুয়াদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ তুলত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিবেশীর যথাযথ দায়িত্ব পালন করে ওই স্বাধীনতাকামীদের আশ্রয়ের বদলে ১৯৯৭ সালে গ্রেফতার করে। কারাগারে থাকাবস্থায় অনুপ চেটিয়া ২০০৩ সালে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন। তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় না দিয়ে ২০১৫ সালে অনুপ চেটিয়া, পরেশ বড়ুয়াদের ভারতের হাতে তুলে দেয়। এমনকি ২০০৯ সালে সীমান্তে উলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া, চিত্রবন হাজারিকা, শশধর চৌধুরীসহ আটজন নেতাকে বাংলাদশ ধরিয়ে দেয়। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ভ‚মিকা পালন করলেও হিন্দুত্ববাদী ভারত শত শত খুনের হাজারো আসামিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করার সুযোগ করে দিচ্ছে।

খুন-হত্যা-লুটের দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা ভারতে বসে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে, এ খবর ওপেন-সিক্রেট। ভারতের গণমাধ্যমগুলো প্রচার করছে কোন নেতা কোন রাজ্যে এবং কলকাতার কোন অঞ্চলে কোন নেতা ঘাড়ি গেঁড়েছেন। ২১ জুলাই বাংলাদেশের সাংগঠনক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতারা দিল্লি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে পুস্তিকা বিতরণ করা হয়। পুস্তিকায় বাংলাদেশ সরকার উৎখাতের পরিকল্পনার কথা বলা হয়। কিন্তু দিল্লি প্রশাসন ওই সংবাদ সম্মেলন শেষ মুহূর্তে করতে দেয়নি। ভারতের গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে পলাতক সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত দাবি করেছেন, শেখ হাসিনাসহ প্রায় এক হাজার ৩০০ সাবেক মন্ত্রী-এমপি, যুবলীগ, ছাত্রলীগের শীর্ষ এবং মধ্যম সারির নেতাকর্মী ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি হাসিনার অলিগার্ক সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সদস্য, সামরিক কর্মকর্তা এবং ক‚টনীতিকরাও আশ্রয় নেন। তারা আরাফাতের ভাষায়- ড. মোহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ‘ডাইনি-শিকার’ থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়েছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলেছে, কলকাতার নিউ টাউনে আওয়ামী লীগ নেতারা বসবাস করছেন। প্রশস্ত রাস্তা, সাশ্রয়ী মূল্যে ভাড়ার ফ্ল্যাট, শপিংমল, জিম এবং বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় এটি তাদের কাছে খুবই সুবিধাজনক আদর্শ বাসস্থান হয়ে উঠেছে। কলকাতার উপশহরে একটি বাণিজ্যিক ভবনে আওয়ামী লীগ পার্টি অফিস খুলেছে। কৌশলগত কারণে সেখানে সাইনবোর্ড ঝুলানো না হলেও ফাইলপত্র রাখা হয়; পলাতক নেতাদের নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ বৈঠক হয়। তারা সেখান থেকে দেশের নেতাদের সন্ত্রাস-খুন-অগ্নিসংযোগের নির্দেশনা দিচ্ছে।

শুধু এটিই নয়, শেখ হাসিনা নিজেও প্রায়ই ফোনে বিভিন্ন নেতার সাথে কথা বলছেন, বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নির্দেশনা দিচ্ছেন। হত্যা-খুন-অগ্নিসংযোগের নির্দেশনা দিচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের ভারতে স্থাপিত রাজনৈতিক কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করার আহŸান জানিয়েছে বাংলাদেশ ক‚টনৈতিক চ্যানেলে। ২০ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ভারতের মাটিতে বৈধ বা অবৈধভাবে অবস্থান করে কার্যালয় স্থাপনসহ বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাÐ বাংলাদেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট চ্যালেঞ্জ। ভারতের রাজধানী দিল্লি ও কলকাতায় নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিস স্থাপনের খবরে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ভারতীয় মাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশবিরোধী কার্যকলাপের পটভ‚মিতে এই ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো বাংলাদেশি নাগরিকদের, বিশেষ করে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতাকর্মীদের, ভারতের মাটিতে আইনত বা অবৈধভাবে অবস্থান করা, এমনকি অফিস স্থাপন করা, যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বাংলাদেশের জনগণ এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবমাননা। তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের প্রতি আহŸান জানায়, ভারতের মাটিতে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক যাতে বাংলাদেশবিরোধী কার্যকলাপ না করে, তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক, এর মধ্যে রয়েছে এ ধরনের কোনো কার্যকলাপের অনুমতি না দেয়া বা সমর্থন না করা এবং ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অফিস অবিলম্বে বন্ধ করে দেয়া।’ অথচ ভারতের মোদি সরকার খুনি-হত্যা মামলার আসামিদের আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চালানোর কথা অস্বীকার করছে দিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল দাবি করেছেন, ‘ভারতের আইনের পরিপন্থি কথিত আওয়ামী লীগের সদস্য বা অন্য কারো কোনো কার্যকলাপ সংঘটিত হওয়ার বিষয়ে ভারতের সরকার অবহিত নয়। ভারতের মাটিতে অন্য দেশের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের কর্মকান্ড ভারত সরকার অনুমোদন করে না।’

বাস্তবতা হচ্ছে- ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে প্রায়ই আওয়ামী লীগের পলাতক সন্ত্রাসীদের তৎপরতার খবর প্রচার হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে কলকাতার নিক্কো পার্কে বসে থাকার সচিত্র খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। অতঃপর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদি পাশের দেশের লোকদের পশ্চিমবঙ্গের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতে অবাধ বিচরণ আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি, এমন অভিযোগ তুলে কলকাতায় প্রতিবাদ করেন অনেকেই। সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী খুনি মোহাম্মদ এ আরাফাত ভারতীয় গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের প্রতিহিংসামূলক অভিযানের কারণে’ গত এক বছরে সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ, দলটির যুব সংগঠন যুবলীগ আর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ ও মধ্য পর্যায়ের এক হাজার ৩০০-এর মতো নেতাকর্মী ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় নির্বাসনে আছেন। আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীর সঙ্গে সাংবাদিক, পুলিশ, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা এবং ক‚টনীতিকরাও রয়েছেন।

প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো শত্রæতা নেই। দুদেশের নাগরিকই বন্ধুভাবাপন্ন। তারপরও মোদি গংরা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে সিকিমের লেন্দুপ দর্জির মতো শেখ হাসিনাকে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে সহায়তা করেছে। বিনিময়ে খুনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান হাসিনাকে আশ্রয় না দিলেও এক হাজার ৪০০ মানুষ হত্যা করে পালানো শেখ হাসিনাকে যতœ করে দিল্লিতে রাখা হয়েছে। মাফিয়া নেত্রী হাসিনাকে উৎখাত করার প্রতিশোধ নিতে ভারত পুশব্যাক খেলায় মেতেছে। নি¤œআয়ের বাংলাদেশি ও ভারতীয় পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি তকমা’ দিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশ করছে। দেখা গেছে, অনেক বাংলা ভাষাভাষী ভারতীয়কে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এ পুশব্যাকের তীব্র প্রতিবাদ করছেন। ‘বাংলাদেশি তকমা’ দিয়ে নি¤œআয়ের গরিব বাংলা ভাষাভাষীকে পুশব্যাক করলেও ইন্টারপোলে রেড-অ্যালার্ট অপরাধী শেখ হাসিনা ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে না। মানবতাবিরোধী অপরাধসহ হাজারো মানুষ খুনের অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধী হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে চিঠি দেয়। সে চিঠির জবাব দেয়নি ভারত। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে বসে হাসিনা বাংলাদেশের দিকে বিষ্ঠা ছুড়ছেন। দিল্লি হাসিনাকে ফেরত না দেয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ভারতকে ‘হাসিনাকে দিল্লিতে রাখতে হলে তাকে চুপ থাকতে হবে’ কড়া বার্তা দেন। তারপরও ভারত দুধকলা খাইয়ে হাসিনার গলার জোর বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে চীনের অর্থায়নে তিস্তা মহাপ্রকল্পের কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের স্বপ্নের তিস্তা প্রকল্পের মাধ্যমে চীন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে শক্ত অবস্থান নেবে। এতে করে ভৌগোলিক ও ভ‚-রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভারতের চিকেন নেক (শিলিগুড়ি করিডোর) হুমকির মুখে পড়তে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহিদ উর রহমান বলেছেন, হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় এমনিতেই ভারতের মোদি হিং¯্র হয়ে উঠেছেন। মাফিয়া নেত্রী হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয় দিচ্ছেন। তিস্তা প্রকল্প শুরু হলে হিন্দুত্ববাদী ভারত আরো ভয়ঙ্কর হিং¯্র হয়ে উঠতে পারে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই পাক বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ এবং বাকশাল গঠনের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্রহত্যাকারী শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নিতে কাদের সিদ্দিকী গংরা ভারতের আশ্রয়ে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। ’৭৭-’৭৮ সালে ভারত এবং কাদের সিদ্দিকী গংরা সফল হতে পারেনি; জিয়াউর রহমান দৃঢ় নেতৃত্বে ভারতের ষড়যন্ত্র গুড়িয়ে দিয়েছেন। এ সময়ে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা দিয়ে অনেক পানি গড়িয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায়। হিন্দুত্ববাদী ভারত ৫০ বছর আগে যা পারেনি হাজারো খুনের দায়ে অভিযুক্ত হাসিনা ও তার দোসর সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে এখনো সেটা পারবে না।

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ