
পার্সটুডের তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে হাজার হাজার ইহুদি বসতি স্থাপনকারী আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে হানা দিয়েছে। এটা সংঘাতের ক্ষেত্রে নতুন বিপজ্জনক মোড় হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
আল-আকসা মসজিদ এবং ডোম অফ দ্য রক উড়িয়ে দিতে উগ্রপন্থী ইহুদিবাদী সংগঠনগুলোর উস্কানিমূলক আহ্বান ও তৎপরতার নিন্দা জানিয়েছে মিশর। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব অন্যায় তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইহুদিবাদীদের এই পদক্ষেপের কারণে কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে ইহুদিবাদীদের এ ধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্মরণ করিয়ে বলা হয়েছে, এ ধরণের উসকানিমূলক তৎপরতা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
মিশরীয় সংবাদপত্র আল-শাআবের বিশ্লেষক ও সম্পাদক মাজদি আহমেদ হুসেইন আল-আকসা মসজিদ এবং ডোম অফ দ্য রক উড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইহুদিবাদীদের উস্কানিমূলক আহ্বানের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “আমরা বড় ধরণের লড়াইয়ের মধ্যে আছি।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে তৎপরতা অনেক বেড়েছে- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “মুসলমানদের প্রথম পর্যায়ের দায়িত্ব হলো ইসলামী ভূমি রক্ষা করা।”
মিশরের সাবেক কূটনীতিক ফাওজি আল-আশমাউই বলেছেন, যুদ্ধ, ধ্বংসযজ্ঞ এবং রক্তপাতের উপর ভিত্তি করে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অস্তিত্ব গড়ে উঠেছে। তিনি আরও বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের আক্রমণ এবং হুমকি বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট ছিল না। এ কারণেই আল-আকসা মসজিদে বিস্ফোরণের আহ্বানের মতো ঘটনা ঘটেছে।
ইননেস্কো এর আগেই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, জেরুজালেমের পবিত্র স্থান বিশেষ করে আল-আকসা মসজিদের সাথে ইহুদিদের কোনো ধরণের ঐতিহাসিক, ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সংযোগ নেই। ইউনেস্কো এই মসজিদকে মুসলমানদের পবিত্র স্থান হিসেবে ঘোষণা করেছে।
মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদ অধ্যুষিত কুদস শহরটি ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি হচ্ছে প্রধান তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী পবিত্র স্থানের একটি।
১৯৬৭ সাল থেকে আল-কুদস ইসরাইলি দখলদারিত্বের অধীনে রয়েছে।