JuboKantho24 Logo

ইজতেমা থেকে কি নিয়ে ফিরবো?

  • আরাফাত নুর

আমরা মুসলমান। আমাদের গর্বের ধর্ম ইসলাম। ইসলাম শান্তির ধর্ম। যুগে যুগে নবি-রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই শান্তির বাণী সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন। বর্তমান তাবলিগ জামাতও এ কাজটি করছে। বিশ্বব্যাপী ইসলামের শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিচ্ছে।
মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সুষ্ঠ-সুন্দরভাবে টঙ্গির তুরাগ তীরে জমেছে আলোর খেলা। পুণ্যের মেলা। ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা। তাওহিদ ও রিসালাতের চিরসত্য-সুন্দরের আহ্বান নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ ইজতেমা। আর তাইতো আল্লাহ প্রেমিকগণ দিকদিগন্ত থেকে আকুল প্রাণ ও ব্যকুল হৃদয়ে হাজির হয়েছেন ইজতেমার মাঠে। মনজিলে মাকসাদ যাদের আখেরাত, পৈত্রিকবাস্থান যাদের জান্নাত, অন্তরের চাওয়া যাদের মুসলিম উম্মাহর হেদায়াত। এমন এক কাফেলায় কে না শরিক হতে চায়, কে না যেতে চায় এমন কাফেলার মহা ইজতেমায়। আসুন! ভেবে দেখি, ইজতেমার পবিত্র আয়োজন থেকে কি নিয়ে ফেরা যায়।

ইজতেমা থেকে যা কিছু নিবো;

ঈমান, আমল, সুন্নতে ননবির প্রশিক্ষণ ও মশকি মেহনতের মাঠ হচ্ছে টঙ্গি তুরাগ তীরের এ বিশ^ ইজতেমা। তাই এ ময়দান যেন শুধু যাওয়া আর আসা না হয়। এজন্যেই যেসব জিনিস এ ইজতেমা থেকে নেয়ার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে, এবং তা নিজের জীবনে বাস্তবায়নের বজ্রকঠোর শপথ করতে হবে এমন কয়েকটি প্রধান-প্রধান বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করা হলো;
১.একনিষ্ঠ বিশ্বাস;
এক আল্লাহর সত্তার উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস এবং তার উপরই আস্থা রাখতে হবে। তিনি ছাড়া আর কেউ কিছুই করতে সক্ষম না – এমন বিশ্বাস নিয়ে যেনো ইজতেমার মাঠ থেকে ফিরতে পারি।
২.সুন্নতের অনুসরণ;
রাসুল (স.) এর আনীত দীন-ইসলামের প্রতি পূর্ণ ঈমান এবং তিনিই শেষ নবি,তাঁর পর আর কোন নবি ও ধর্ম আসবেনা এ কথার উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা। সেই সঙ্গে তাঁর সুন্নতের পুঙ্খানুপুঙ্খানুভাবে অনুসরণ এবং একমাত্র তাঁর তরিকার উপরই এ মুসলিম জাতির মুক্তি – একথার ধ্যান-জ্ঞান করা।
৩.দীন প্রচার;
দীন ইসলামের সম্মানে,মুসলিম জাতির কল্যাণে নিজের জান মাল সময় সবকিছু দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা। দীনের তাবলিগে নিজের সবকিছুকে কুরবানি দেয়া। মুমিন মুসলমান এবং বেদীন সবধরণের মানুষের কাছে ঈমান, ইয়াকিন এবং দীনের ব্যথা নিয়ে কালেমার দাওয়াত দেয়া। মনে মনে একথার বিশ^াস রাখা আল্লাহ চাহেতো সে আমার দাওয়াত কবুল করবে।
৪.কুরআন তেলাওয়াত ও যিকির;
ইজতেমার সময় এবং তার পরে পুরো জিন্দেগীতে এ দু’টি বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা। কেননা, কুরআন তেলাওয়াতে অন্তরের অন্ধকার দূর হবে এবং জিকিরের দ্বারা প্রশান্তমনের অধিকারী হওয়া যাবে।
৫.সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ;
সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধ করা। কেননা, এ দু’টি বিষয়ই হলো দুনিয়ার ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকার মূলচালকাশক্তি।
৬. ঐক্য ও প্রাধান্য;
মুসলিম উম্মাহর একতা, বন্ধুত্বতার উপর গুরুত্বারোপ করা। কেননা,সব মুসলিম ভাই-ভাই। সারা দুনিয়ার মুসলমানেরা এক ভূখণ্ড,এক শরীরের অধিকারী। তাদের সাদা-কালো দেশি-বিদেশি কোন ভেদাভেদ নেই। অন্য বিষয়টি হলো ইসারেদানি। অর্থাৎ নিজের উপর অন্যকে প্রাধান্য দেয়া। অন্য মুসলমান ভাইয়ের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখা।
৭. ইস্তেসফার ও জিকিরে ফিকিরে থাকা;
সবসময় আল্লাহর দরবারে নিজের ভুল-ভ্রান্তির জন্য তওবা-ইস্তেগফারে মগ্ন থাকা এবং অযথা কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকা। সবসময় উম্মতে মুহাম্মাদির দুরবস্থা, তাদের হেদায়েত এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের কথা চিন্তা করে জিকিরে ফিকিরে মগ্ন থাকা।

লেখক, শিক্ষার্থী : বাইতুল মুমিন মাদরাসা, উত্তরা,ঢাকা – ১২৩০
মোবাইল – ০১৬১২৬০৫১৭০

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ