ইরানে ইসরায়েলের হামলার মধ্যে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থানরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে ভারত। সোমবার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তেহরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইরানে অবস্থানরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে তারা। যাতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাসের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের ইরানের ভেতরে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে ইসরায়েল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘নরম অবস্থান’কে ঘিরে কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট বরাবরই ভারতের জন্য সংবেদনশীল বিষয়। ২০২৩ সালেও ভারত জাতিসংঘে এক প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল। সে সময় হামাসের নিন্দা জানালেও ইসরায়েলের প্রতি ভারতের অবস্থান ছিল সংযত—আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা ও মানবিকতার মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছিল দিল্লি।
বর্তমানে ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। কৃষি, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা—বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারিত হয়েছে। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় ইসরায়েলই প্রথম ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারে সমর্থন জানায় এবং ভারতের অবস্থানকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে।
ভারতের কূটনৈতিক হিসাবেও ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নেওয়া মোদির সরকারের পক্ষে কঠিন—এমন আভাস মিলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ আলোচনাতেও।