JuboKantho24 Logo

ইসরাইলে সাইরেন, একটি মিসাইল, আর হঠাৎ যুদ্ধ উত্তেজনা — নতুন করে ইয়েমেনকে হামলার ছুঁতো তৈরি করছে তেলআবিব?

ইসরাইলে সাইরেন, একটি মিসাইল, আর হঠাৎ যুদ্ধ উত্তেজনা,নতুন করে ইয়েমেনকে হামলার ছুঁতো তৈরি করছে তেলআবিব?

আজ সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। গণমাধ্যমে প্রচার হতে থাকে—ইয়েমেন থেকে আসছে ভয়াবহ আক্রমণ, আকাশভর্তি মিসাইল, নতুন এক যুদ্ধ পরিস্থিতি।

কিন্তু পরে ইসরাইল নিজেই জানায়—মাত্র একটি মিসাইল এসেছিল, সেটাকেও সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে। এক মিসাইলে এত হইচই কেন?

এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করে ইসরাইল-বিরোধীরা। কিন্তু তাতেও যেন ইন্ধন পড়ে আরও বড় কিছুতে। হঠাৎই যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত “B-2 বোমারু বিমান দিয়ে ইয়েমেনকে আঘাত করার” আহ্বান জানান এক্স (টুইটার)-এ। এরপর ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো এক ধাপ এগিয়ে বলেন—

> “ইয়েমেনকে এবার ইরানের মত সাইজ করতে হবে।
ইসরাইলের দিকে যেই হাত বাড়াবে, সেই হাত কেটে ফেলা হবে।”

 

এখানে সামনে আসছে তিনটি স্পষ্ট প্রশ্ন:

1. ইসরাইল কি আবার ইয়েমেনে আক্রমণের ছক কষছে?
একটি মিসাইলকে কেন্দ্র করে হঠাৎ উত্তেজনা, কূটনৈতিক ভাষায় যুদ্ধবাজ বার্তা—সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে তেলআবিব নতুন অভিযান শুরু করতে চাইছে।

2. এই মিসাইল কি শুধুই বাহানা?
যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে প্রথমে কঠিন বার্তা ছড়ানো, তারপর নিজে গর্জে ওঠা—এ যেন আগাম সম্মতি আদায়ের কৌশল! পেছনে যে বড় কিছু ঘটাতে চায়, সেটাই স্পষ্ট।

3. “হাত কেটে ফেলার” হুমকি কি ইরানে হারের লজ্জা ঢাকার চেষ্টা?
বাস্তবতা হলো, ইরানের প্রতিরোধে ইসরাইল সামরিক, মনস্তাত্ত্বিক—উভয় দিক থেকেই ভেঙ্গে পড়েছিল। এবার কি ইয়েমেনকে সহজ শিকার ভেবে সেই হারের ব্যথা ভুলতে চাইছে?

 

🛑 বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি ক্লাসিক ‘প্রোভোকেশন স্ট্র্যাটেজি’। আগে উত্তেজনা তৈরি করে, আন্তর্জাতিক মহলে আতঙ্ক ছড়িয়ে তারপর সামরিক অভিযান চালানো। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—ইয়েমেন কি ইরানের মত পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত?

📌 আপাতত পরিস্থিতি উত্তপ্ত, এবং ইসরাইলের প্রতিটি উসকানির দিকে নজর রাখছে গোটা মুসলিম বিশ্ব।

 

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ