
বর্ষাকাল মানেই আকাশ ভরা মেঘ, ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর কাদামাটির গন্ধ। তবে যদি থাকে টানা বৃষ্টি তাহলে আমাদের দৈনন্দিন কাজে পড়তে হয় নানান সমস্যায় । ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ হতে পারে নানান সমস্যা। কিন্তু বর্ষাকাল নিয়ে আমাদের সমাজে কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে, যা বাস্তবতা থেকে অনেকটা দূরে। জেনে নেই ভারতীয় চিকিৎসক এবং ডায়েটিশিয়ান প্রতিক্ষা ভরদ্বাজ এই বিষয়ে কি বলেছেন এবং কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
পানিপানের প্রয়োজনীয়তা:
অনেকে মনে করেন বর্ষাকালে পানি কম খেলে অসুবিধা নেই। তবে, বাস্তবতা হলো বর্ষায়ও আমাদের শরীর নিজের মতো করেই কার্য সম্পাদন করেন। অনেকেই এই আবহাওয়ায় কম তৃষ্ণার্ত অনুভব করায় পানি কম পান করেন। এর ফলে অনেকে পানিশূন্যতায় ভোগে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে শরীর ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে। তাই বর্ষার মৌসুমেও স্বাভাবিক পানিপান অভ্যাস অব্যাহত রাখবেন।
বাইরের খাবার:
বাইরে তৈরি যেকোনো খাবারই হতে পারে অনিরাপদ ও থাকতে পারে দূষণের ঝুঁকি। অস্বাস্থ্যকর এই খাবারে থাকে ব্যাকটেরিয়া ও নানান রকমের জীবাণু। এর পরিবর্তে ঘরে ঘরোয়া খাবারকে বেশি অগ্রাধিকার দেন। পানি ফুটিয়ে পান করুন এবং বাইরের খাবার খাওয়া থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।
সন্ধ্যার পরে মশার প্রকোপ:
অনেকে মনে করে, এডিস মশা শুধু রাতে কামড়ায়। তবে এই মশার প্রকোপ বেশি থাকে দিনের বেলায়। তাই লম্বা হাতা পরে বাইরে বের হতে হবে, ঘরের আশে পাশে পানি জমতে দেওয়া যাবে না এবং চারপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে।
বর্ষার অ্যালার্জি:
বর্ষার মৌসুমে হওয়া অ্যালার্জিও প্রথমে চিকিৎসা না করানো হলে পরে সমস্যা বাড়তে পারে । কারণ, বর্ষার পানিতে নানান রকম জীবাণু থাকায় হতে পারে ইনফেকশনসহ নানান ত্বকের সমস্যা। তাই শুকনা ও পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন।
এসব সাবধানতার পাশাপাশি আরও কিছু বাড়তি উপদেশ দিয়েছেন ডা. প্রতিক্ষা। নানান ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে যেসব স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন –
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। যেমন-লেবু, আমলকী ইত্যাদি।
২. নিরাপদ ও হালকা খাবার খান। তৈলাক্ত বা বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এর পরিবর্তে হালকা খাবার খান।
৩. হাত-পা পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখুন। ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে বাঁচতে বাইরে থেকে এসেই হাত-পা ও মুখ ধুয়ে ভালো করে মুছে নিন।