শ্রদ্ধেয় উলামায়ে কেরাম, প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ! আপনারা জাতির অভিভাবক। আপনারা জাতির মেরুদণ্ড। জাতির দুর্দিনে সর্বদা আপনারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, সাহস জুগিয়ে গেছেন সবসময়।
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি আজ জুলুমের আগুনে জ্বলছে। শিশু কিশোর সহ সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে আজ গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। দেশের মানুষের অধিকার বলতে আর কিছুই বাকি নেই। কোন মানুষের জানের নিরাপত্তা নেই। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই। নেই আইনের কোন বালাই। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতি। বাংলাদেশ আজ পরিপূর্ণ পরাধীন একটি রাষ্ট্র।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আপনারা আসুন, নেতৃত্ব দিন। এই মূহুর্তে আপনারা মাদ্রাসায় বসে থাকবেন না। ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখবেন না।
গণ মানুষের গণ-আন্দোলনে, গণ অভ্যুত্থানে শরিক হোন। রাজপথে নেমে আসুন।
আপনারা কি ২০১৩ সালের রক্তাক্ত শাপলার কথা ভুলে গেছেন? ২০২১ সালের জেল-জুলুম কি মনে নেই আপনাদের? সারাজীবন কি মার খেয়েই যাবেন?
প্রতিশোধের আগুন কি জ্বলে না আপনাদের বুকে?
আর মাদ্রাসা-মসজিদ কিংবা খানকায় বসে থাকবেন না। জেগে উঠার এখনই সময়। সময় এখন লড়াইয়ের। তাই রাজপথে নেমে আসুন।
মনে রখবেন, যুদ্ধের সময় মধ্যমপন্থা অবলম্বনের কোন সুযোগ নেই। যুদ্ধের সময় যারা মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে কিংবা চুপ থাকে, পরবর্তী প্রজন্ম তাদেরকে গাদ্দার হিসেবে সাব্যস্ত করে। রাজাকার কিংবা গাদ্দার তকমা নিজেদের গায়ে না জড়াতে চাইলে, ছাত্রজনতার গন আন্দোলনে স্ব শরীরে অংশগ্রহণ করুন।
পরিশেষে দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা, কাসিমুল উলুমি ওয়াল খায়রাত আল্লামা কাসেম নানুতুবী রহ. এর একটি উক্তি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। ❝যদি দারুল উলুম এর প্রতিটি ইটও খুলে নেওয়া হয়, তবুও আমি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে সরে আসবো না।❞
কওমি মাদ্রাসা কেবল পঠন পাঠনের জায়গা নয়। কওমি মাদ্রাসা একটি চেতনার নাম। একটি আদর্শিক প্রতিষ্ঠান। যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ব্রিটিশ বিরোধী লড়াই কে কেন্দ্র করে। তাই আসুন কাসিমী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে স্বৈরাচারী জালেমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে আরো একবার স্বাধীন করি।
শিক্ষার্থী: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া।