রিফুল ইসলাম (রিফাত), করিমগঞ্জ;
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের সিন্দ্রীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র সংযোগ সড়ক আলা উদ্দিনের বাড়ি হতে সিন্দ্রীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে মৌলভী বাড়ি থেকে বানকাটা মোড় পর্যন্ত রাস্তটি বর্তমানে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। উক্ত আল উদ্দিনের বাড়ি হতে সিন্দ্রীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তাটি দু’পাশে গভীর পুকুর পাড় ভেঙে পরায় রাস্তার প্রস্থ এখন কোথাও কোথাও দুই ফুটেরও কম হয়ে পড়েছে। পুকুরপাড়ের মাটিধস ও ভাঙনের কারণে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং গ্রামবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
একসময় গাড়ি চলাচলে ব্যস্ত সড়কটি এখন মৃতপ্রায়। বর্ষা মৌসুমে সড়কটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করা তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটেও যাতায়াত করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন কোমলমতি শিশুরা স্কুলে যাওয়ার সময় আতঙ্কে থাকে। যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। অভিভাবকরা প্রতিদিন দুশ্চিন্তার মধ্যে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বারবার বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও এখনো কোনো প্রকার সংষ্কারে উদ্যোগ গ্রহন করা হয় নি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে গত কয়েক বছর আগে মাটি ভরাট করা হলেও ভাংনের কারণে রাস্তাটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় নি। উক্ত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বর্তমান ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. এনামুল হক বাচ্চু, সাবেক ইউপি সদস্য মিলন মিয়া,বিশিষ্ট সমাজ সেবক জাকির হোসেন রবিন, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুস সাত্তার, সানাউল্লাহ আহসান, মো. আলা উদ্দিন, ছাত্র অভিভাবক মো. হাবিবুর রহমান, সমাজ সেবক মিলন মিয়া,
এলাকাবাসীর পক্ষে সার্বিক ব্যবস্থাপনা করেন কুতুব উদ্দিন আহমেদ, ও হাফেজ আমিনুল ইসলাম।
এলাকাবাসীর বলেন , সিন্দ্রীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার এই রাস্তার বর্তমান অবস্থা মানবিক সংকটের পর্যায়ে পৌঁছেছে। এটি শুধু একটি রাস্তা নয়—এটি শতাধিক শিক্ষার্থীর নিরাপদ শিক্ষাগমন পথ। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী সিন্দ্রীপ কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সেবা নিতে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। তাই এই রাস্তার অবস্থা অতি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যা ভবিষ্যতে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসীর দাবি,
১. সিন্দ্রীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার সংযোগ সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে পরিদর্শন করা হোক।
২. পুকুরপাড়ে স্থায়ী পাকা বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
৩. রাস্তার প্রস্থ বৃদ্ধি ও মাটি ভরাট করে টেকসই পাকা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হোক।
৪. বিষয়টি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED)-এর অগ্রাধিকার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রধান করা হবে।প্রশাসনের সক্রিয় পদক্ষেপই পারে এই “মরণফাঁদে” পরিণত রাস্তাটিকে নিরাপদ শিক্ষাপথে রূপান্তরিত করতে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকা বাসি।