আজকাল শহর, শহরতলি এবং গ্রামেও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে। প্রতিদিন বিদ্যুতের নানা কাজে অংশ নিতেই হয় আমাদের। তাই সাবধানতা না নিলে এসব সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশংকা থেকেই যায়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া একটি ভয়াবহ ব্যাপার।
বিদ্যুৎপ্রবাহ আছে এমন কোনও খোলা তার বা বোর্ডের সংস্পর্শে এলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন অনেকেই। বিদ্যুতের প্রাবল্যের ওপর মানুষের বেঁচে থাকাও নির্ভর করে। খুব কম সময়ে শরীরে অনেকটা বিদ্যুৎ চলে গেলে সেই মানুষের তৎক্ষণাৎ মৃত্যুও অসম্ভব নয়।
তীব্র গরমে ছাদ ঠান্ডা রাখবেন যেভাবেতীব্র গরমে ছাদ ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তির হৃদযন্ত্র, শ্বাসতন্ত্র ও মস্তিষ্কের প্রাথমিক অসাড়তার কারণে মৃত্যু ঘটে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট থাকাকালে ওই ব্যক্তিকে অন্য কেউ স্পর্শ করলে তারও একই পরিণতি হবে।
আর তাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে কী করবেন আর কি করবেন না, তা আগে থেকে জেনে রাখা দরকার।
কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে করণীয়
১. কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে কোনোভাবেই তার গায়ে হাত দেবেন না। এছাড়া গায়ে পানিও দেবেন না, বরং তাকে শুকনো উলের পোশাক, কাঠের টুকরো, খবরের কাগজ অথবা রাবার জাতীয় তড়িৎ অপরিবাহী বস্তু দিয়ে সজোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিন।
২. বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তি যদি তখনো বিদ্যুতের আওতাধীন থাকেন অর্থাৎ তার শরীরে কিংবা হাতে-পায়ে বিদ্যুতের তার জড়ানো থাকে তাহলে প্রথমেই মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে কিংবা সকেট থেকে প্লাগ সরিয়ে ফেলতে হবে।
৩. যিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে সাহায্য করবেন তাকে খেয়াল রাখতে হবে তার হাত দুটো যেন শুকনো থাকে এবং তাকে শুকনো কিছুর ওপর দাঁড়িয়ে সাহায্য করতে হবে। এক্ষেত্রে পায়ে স্পঞ্জের স্যান্ডেল থাকতে হবে।
এই গরমে পোষা প্রাণীর যত্নএই গরমে পোষা প্রাণীর যত্ন
৪. বিদ্যুৎ থেকে মুক্তি পেলেও অনেক সময় ব্যক্তির শ্বাসপ্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তেমন হলে বুকের উপর জোরে চাপ দিয়ে হৃদযন্ত্র চালু করুন।এছাড়া রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
৫. মনে রাখতে হবে- বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে শরীরে জলীয় উপাদানের বিশেষ করে ইলেকট্রোলাইটসের প্রচুর ঘাটতি হয়। রোগী যাতে প্রচুর জলীয় উপাদান পায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
ম্যালেরিয়ার লক্ষণ ও প্রতিকার, কাদের ঝুঁকি বেশি?ম্যালেরিয়ার লক্ষণ ও প্রতিকার, কাদের ঝুঁকি বেশি?
যা করবেন না
১. ঘরে যত্রতত্র মাল্টি-প্লাগ ব্যবহার করা উচিত নয়। ঘর যাতে স্যাঁতসেঁতে না থাকে এবং বিদ্যুতের উৎসের কাছাকাছি ভেজা কিছু না থাকে – সেটি নিশ্চিত করতে হবে
২. পানি হাতে বাড়ির বৈদ্যুতিক সুইচে হাত দেবেন না এবং বিদ্যুতের কাজ করার সময় মেন সুইচ বন্ধ করে নিন আগেই।
৩. বাড়ির সব বৈদ্যুতিক তার ও আর্থিং ঠিক আছে কি না তা দেখে নিন।
৪. খালি পায়ে মাটিতে বা ফ্লোরে দাঁড়িয়ে বৈদ্যুতিক কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।