ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে এখনো পশুর হাট না বসলেও পছন্দের গরু কিনতে এখন থেকেই বিভিন্ন খামারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে খামারে লালন-পালন করা গরুগুলো বিভিন্ন নামে নামকরণ করছেন খামার মালিকরা।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা গোদনাইল এলাকার আর কে এগ্রো ফার্মে এমনই দুটো গরুর নাম রাখা হয়েছে শাকিব খান ও জায়েদ খান। আকর্ষণীয় এই গরু দুটো দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। গরুর সঙ্গে অনেকেই ছবি তুলছেন, ধারণ করছেন ভিডিও।
আর কে এগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা গেছে, সাড়ে ৩ বছরের শাহীওয়াল জাতের ২৫ মণ ওজনের গরুর নাম রাখা হয়েছে শাকিব খান। সাদা ধুসর রঙের গরুটি লম্বায় প্রায় ১০ ফুট, উচ্চতায় ৫ ফুট। এর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। একই বয়সী শাহীওয়াল জাতের বাদামী ও কালো রঙের সাড়ে ২২ মণ ওজনের গরুর নাম রাখা হয়েছে জায়েদ খান। এর দাম হাঁকা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। শাকিব খানের ওজন ও দাম বেশি হলেও লাইভ ওয়েট হিসেবে জায়েদ খানের দাম বেশি। লাইভ ওয়েট হিসেবে শাকিব খানের কেজি ১ হাজার ৫০০ টাকা ও জায়েদ খানের ১ হাজার ৫৫৫ টাকা। প্রতিদিন গরু দুটির খাদ্য তালিকায় থাকে গমের ভুসি, ধানের খড়, ছোলা ভাঙা, ভুট্টা ভাঙা, খৈল আর কাঁচাঘাস।
গরু দুটির এমন নামকরণের বিষয়ে কথা হয় আর কে এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সামাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আদর করে গরু দুটির এমন নাম রেখেছি। শাকিব খান গরুটি দেখতে অনেক সুন্দর। ছোট থেকেই গরুটি লালন-পালন করছি। তখন থেকেই সবাই গরুটিকে ভালোবাসছে। গরুটি রাজার মতোই হাঁটে। ওর মধ্যে সব সময় কিং খানের মতো একটা ভাব থাকে। আমাদের ভালোবাসার ও পছন্দের নায়ক হচ্ছেন শাকিব খান। এ কারণে এই গরুর নাম শাকিব খান রেখেছি।’
আর জায়েদ খান নাম রাখা প্রসঙ্গে আব্দুস সামাদ বলেন, ‘জায়েদ খান বললেই গরুটি সব সময় সাড়া দেয়। গরুটি ছোট থেকেই ছটফট প্রকৃতির এবং ছোট অবস্থায় ডিগবাজি দিতো। তবে এখন আর ডিগবাজি দেয় না।’
যোগাযোগ করা হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা। এবার আমাদের কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৩টি। আশা করি কোনো ঘাটতি হবে না। বর্তমানে এগ্রো ফার্মগুলো ক্রেতাদের বেশি আকৃষ্ট করে। তাই এখন অনেকেই এই ফার্মগুলো থেকে কোরবানির জন্য গরু কিনে থাকেন।’