
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে “জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার দাবি” শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল আজ ১৮ জুলাই শুক্রবার বাদ জুমা, বাইতুল মোকাররম উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ রাকীবুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ।
মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গত জুলাই-আগস্টে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। আজ এক বছর পার হলেও খুনিদের বিচার হয়নি। জনগণ খুনি হাসিনার ফাঁসি চায়। তার দোসররা এখনও দেশব্যাপী অরাজকতা করছে। সম্প্রতি এনসিপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার মাধ্যমে সেটি আবার প্রমাণিত হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, গোপালগঞ্জসহ বাংলাদেশের কোথাও আওয়ামী লীগকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। প্রশাসনের কেউ যদি তাদের রক্ষা করতে চায়, তাকেও প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজপথের ঐক্যকে আরো মজবুত করতে হবে। প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিহিংসা নয়। একে অপরের প্রতি শালীনতা ও সহযোগিতার মনোভাব থাকতে হবে। আজ অনৈক্যের সুযোগ নিচ্ছে স্বৈরাচার। তাই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন বলেন, জুলাই গণহত্যার সাথে জড়িত সকল এমপি-মন্ত্রীর বিচার করতে হবে। একটি লিখিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি। একইসাথে আমরা দ্বিকক্ষীয় সংসদব্যবস্থার আওতায় নিম্নকক্ষে আংশিক অনুপাতিক এবং উচ্চকক্ষে পূর্ণ অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভিত্তিক নতুন সাংবিধানিক কাঠামোর আহ্বান জানাচ্ছি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন:
দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি,সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, কেন্দ্রীয় নেতা ফয়সাল আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ,
উপস্থিত ছিলেন:
মাওলানা আতিকুল্লাহ, মাওলানা শরিফুজ্জামান জসিম, হাফেজ শামসুল আলম, মাওলানা রিজওয়ান হুসাইন, মুহাম্মাদ জাবেদ হুসাইন, মাওলানা আবু হানিফ নোমান, মাওলানা রুহুল আমিন, হাফেজ দিলাওয়ার হুসাইন, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল পল্টন থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগরের পানির ট্যাংক মোড়ে পৌঁছালে মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনের সমাপনী বক্তব্য ও দোআর মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।