
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৃহত্তর উত্তরা ওলামা পরিষদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এক যৌথ বিবৃতিতে পরিষদের সভাপতি মুফতি কামালুদ্দিন এবং সেক্রেটারি মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, “রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালনরত এক সংবাদকর্মীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—বরং এটি দেশের চলমান সন্ত্রাসী পরিবেশ ও বিচারহীন সংস্কৃতির জঘন্য বহিঃপ্রকাশ। আসাদুজ্জামান তুহিন দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর শেষ রিপোর্টটিও ছিল স্থানীয় চাঁদাবাজ চক্রকে নিয়ে, আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে খুন হতে হলো। এটি নিঃসন্দেহে সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।”
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “এই ঘটনা গোটা জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। একজন কলম সৈনিককে এমন বর্বরভাবে হত্যা প্রমাণ করে, দুর্বৃত্তরা আর কারো তোয়াক্কা করছে না। রাষ্ট্র যদি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বাকস্বাধীনতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো মানুষেরা কোথায় যাবে?”
বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ মনে করে, এ হত্যাকাণ্ড শুধু একজন ব্যক্তিকে নয়—পুরো সাংবাদিক সমাজ, মুক্তচিন্তা ও জনস্বার্থভিত্তিক রিপোর্টিংকে টার্গেট করেছে। তারা সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিবৃতিতে তাঁরা আরও বলেন, “আমরা নিহত সাংবাদিকের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। একইসাথে সমাজের সকল বিবেকবান মানুষদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—এই ভয়ংকর দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।”
প্রতিবাদকারীগণ:
মুফতি কামালুদ্দিন
সভাপতি, বৃহত্তর উত্তরা ওলামা পরিষদ
মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন
সেক্রেটারি, বৃহত্তর উত্তরা ওলামা পরিষদ