স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে কবিরাজ এর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু ওই কবিরাজ স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করেছে এমন অভিযোগে প্রতিশোধ নিতে হত্যা করে। চুয়াডাঙ্গার কবিরাজ আব্দুর রাজ্জাক রাজাইকে (৫০) জবাই করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত রুবেল মিয়া (২৩) ও সহযোগী সোহেল রানা (২০) সম্ভ্রমহানির প্রতিশোধ নিতে হত্যা করেছে বলে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু, মোটরসাইকেল ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের আব্দুর সেলিমের ছেলে রুবেল মিয়া ও একই এলাকার আনিসের ছেলে সোহেল রানা (২০)।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার জানান, ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজি করতেন। আসামি রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রী শারীরিক চিকিৎসার জন্য গত ৩১ মে রাজ্জাকের শরণাপন্ন হয়। জ্বিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে নবগঙ্গা ব্রিজের সন্নিকটে পান বরজের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়।
রুবেলের জবানবন্দির সূত্র ধরে পুলিশ সুপার বলেন, বরজে এসে ভিকটিম রাজ্জাক ও তার স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে স্ত্রীর মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আনুমানিক ৩৫/৪০ মিনিট পরে ভিকটিম ও আসামির স্ত্রী পানবরজের নিকট ফিরে আসে। এসময় রুবেলের মনে স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছে এমন সন্দেহ করে। এরপর বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কান্নাকাটির একপর্যায়ে স্ত্রী স্বীকার করে কবিরাজ চিকিৎসার নামে সম্ভ্রমহানি করেছে। এরপর ওই রাতে রুবেল তার সহযোগী সোহেল রানাকে সাথে নিয়ে কৌশলে ডেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাকের গলায় পোচ দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়।
গত ১ জুন সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ-জুগিরহুদা রাস্তার পাশে মাঠ থেকে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে এক কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।