
জাতিসংঘের নামে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে সিলেটে খেলাফত যুব মজলিসের বিক্ষোভ
সিলেট, ৩১ জুলাই (বুধবার) — জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় বাংলাদেশে স্থাপনের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সিলেট কোর্ট পয়েন্টে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস মহানগরীর উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাদ আসর আয়োজিত সমাবেশ শেষে একটি মিছিল জিন্দাবাজার হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী বলেন,
“এই ঘটনা নিছক ব্যক্তিগত সফরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের অংশ। ইসলামি সমাজে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি ও নীতিভ্রষ্ট মূল্যবোধ চাপিয়ে দেওয়ার একটি গভীর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এর পেছনে সক্রিয়। আমরা এই অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেব না।”
তিনি আরও বলেন, “ইসলামি মূল্যবোধ, পারিবারিক কাঠামো ও সামাজিক রীতিনীতির পবিত্রতা রক্ষায় সবাইকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
সিলেট মহানগর যুব মজলিসের সভাপতি এন এ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দীনের সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন—
বাংলাদেশ খেলাফত শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য মাওলানা সাদিক সালিম,
খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগরের সহ-সভাপতি মাওলানা সানা উল্লাহ।
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন—
তালামিযে ইসলামিয়ার সহ-সভাপতি আরিফ হুসাইন সামাদ,
জুলাই দ্য রেড সিলেট-এর আহ্বায়ক মুহাম্মদ মহরম আলী,
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর জেলা প্রচার সম্পাদক সালিম আহমদ খান,
ও অর্গানাইজেশন-এর সভাপতি তরিকুল ইসলাম হাসান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন— মাওলানা কামরুল ইসলাম (মহানগর সংগঠন সম্পাদক),
মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত (জেলা সংগঠন সম্পাদক),
মাওলানা জাকারিয়া আহমদ (মহানগর প্রশিক্ষণ সম্পাদক),
মাওলানা আব্দুল্লাহ সোহাগ (বায়তুলমাল সম্পাদক),
মাওলানা শাহনূর চিশতি (সমাজকল্যাণ সম্পাদক),
সাইফুদ্দিন সাইফ (খেলাফত ছাত্র মজলিস মহানগর সভাপতি),
রায়হান বিন জলিল (পূর্ব জেলা সভাপতি),
মুশফিকুর রহমান মাহদী (মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক),
আব্দুল মুবিন (প্রশিক্ষণ সম্পাদক),
এবং আবু তাহের মিছবাহ (জেলা সহ-সভাপতি) প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে জাতিসংঘের বিতর্কিত কর্মকর্তার সফর পরিকল্পনা বাতিল ও বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়।