সাইফার মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক চেয়ারম্যান ইমরান খান। তবে অন্যান্য মামলায় জামিন না পাওয়ায় কারামুক্ত হতে পারছেন না তিনি।
ইমরান খানের রাজনৈতিক সহযোগী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ্ মাহমুদ কোরেশিকেও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন মামলায় জামিন দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। খবর ডনের।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) এ মামলায় জামিন পেলেও ইমরানকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। কারণ অন্য কয়েকটি মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আছে।
ইমরান ও কোরেশি উভয়েই রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি আছেন। আগস্টে পৃথক একটি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে কারাগারে আছেন ইমরান।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদে একটি গোপন তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এই বার্তা প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করেছেন। কিন্তু তিনি এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। ইমরানের দাবি, ওই তারবার্তা গণমাধ্যমে এসেছিল অন্য সূত্র থেকে।
ফাঁস হওয়া কূটনৈতিক তারবার্তার কথা উল্লেখ করে তখন তিনি বলেছিলেন, যে বার্তা ফাঁসের জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, সেটিই প্রমাণ করছে যে, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল। কারণ, তিনি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আগে রাশিয়ায় সফর করেছিলেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনী উভয়ই ইমরানের এমন দাবি অস্বীকার করেছে।
গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন।