
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে মাওলানা আশরাফ মাহদীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
ঢাকা, ৬ আগস্ট ২০২৪
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এ শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার প্রসঙ্গ উপেক্ষিত থাকায় ক্ষোভ ও গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট আলেম ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র মাওলানা আশরাফ মাহদী।
এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন—
“যে শাপলা ট্র্যাজেডির রক্তাক্ত প্রেক্ষাপট ছাড়া ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ প্রস্তুত হত না, সেই শাপলাই আজকের ঘোষণাপত্রে অনুপস্থিত। এটি কেবল এক দুঃখজনক বিস্মৃতি নয়, বরং এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় বিবেকের অসম্পূর্ণতারই প্রতিচ্ছবি।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ২০১৩ সালের শাপলা গণহত্যাই ছিল এই ভূখণ্ডে ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রকাশ্য সূচনা। সেদিনই শেখ হাসিনা সরকার জনগণের কাছে তার বৈধতা হারিয়েছিল। অথচ আজকের ঘোষণাপত্রে সেই রক্তাক্ত অধ্যায় উপেক্ষিত—যা আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ও ন্যায্যতার প্রশ্নে এক গর্হিত ভুল।
তিনি আরও বলেন—
“শাপলার ভাইদের রক্তের স্বীকৃতি যে রাষ্ট্র দিতে পারে না, সে রাষ্ট্র এখনো ফ্যাসিবাদের দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে পারেনি। কালচারাল ফ্যাসিবাদ এখনো তার ঘাড়ে সওয়ার হয়ে আছে।”
মাওলানা আশরাফ মাহদী মনে করিয়ে দেন, ২০১৩ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে আলেম-ওলামা ও মাদরাসার ছাত্ররাই ছিলেন রাজপথের সম্মুখভাগে। ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানেও শতাধিক আলেম ও ছাত্র শহীদ হয়েছেন।
তার ভাষায়—
“এই শহীদেরা কেবল রাজনৈতিক আন্দোলনের অংশ ছিলেন না; তাঁরা ছিলেন ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদার প্রতীক। তাদের অবদান স্বীকার না করলে কোনো ঘোষণাপত্রই পূর্ণতা পায় না।”
ঘোষণাপত্র প্রণয়নকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন—
“যত দ্রুত সম্ভব এই ঐতিহাসিক ত্রুটির সংশোধন হোক। শাপলা গণহত্যা ও আলেম-ওলামা শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক। তা না হলে, জনগণের স্বপ্ন পূরণে এ ঘোষণাপত্র বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।”