আমরা গভীর ক্ষোভ ও হতাশার সাথে লক্ষ্য করছি—'জুলাই ঘোষণাপত্র'-এ বাংলাদেশের রাজনৈতিক জাগরণের ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে মাদরাসার ছাত্রদের ঐতিহাসিক অবদানকে।
জুলাই আন্দোলনের প্রতিটি পরতে পরতে যে সাহস, যে আত্মত্যাগ, যে শহীদি চেতনা—তার মূল চালিকাশক্তি ছিল মাদরাসার ছাত্রসমাজ। তবু এই ঘোষণাপত্রে তাদের একবিন্দু স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি। অথচ এই আন্দোলনের পথে সবচেয়ে বেশি গুলি খেয়েছে তারাই, সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে হেফাজতের শান্তিপ্রিয় ছাত্রদের শরীরে। তারা রাস্তায় বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে, ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেছে, তবু শহীদের নামগুলো মুছে ফেলা হয়েছে! এই ইতিহাস বিকৃতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এরচেয়েও বেদনাদায়ক হলো—হেফাজতের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিহত শহীদের রক্তকে এ ঘোষণাপত্রে একবারের জন্যও স্মরণ করা হয়নি। গণহত্যার এ ভয়াবহ ইতিহাসকে চেপে গিয়ে কার স্বার্থ রক্ষা করা হলো, তা দেশের সচেতন মানুষ ভালো করেই বুঝে। এই প্রহসনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট: আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যান করছি। এটি একটি পক্ষপাতদুষ্ট ও ইতিহাস বিকৃতির দলিল, যেখানে মাদরাসা ছাত্রদের আত্মত্যাগ মুছে ফেলার চক্রান্ত স্পষ্ট।
আমরা আহ্বান জানাই—যে কোনো জাতীয় দলিল রচনায় সব পক্ষের সম্মানজনক ভূমিকা নিশ্চিত করা হোক, শহীদদের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা জানানো হোক, এবং ইতিহাসকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করা হোক।
বার্তা প্রেরক
আনোয়ার মাহমুদ
সংগঠক, জুলাই মাদরাসা ছাত্র পরিষদ