আজ (০৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ইং.) শুক্রবার দুপুর ৩ টায় উত্তরা ১২ নং সেক্টরের বাহার অডিটোরিয়ামে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক বায়েজিদ আল হোসাইন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাসউদুল করিম কাসেমী, কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী, কেন্দ্রীয় দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মহিউদ্দিন মাসুম।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক বাইজিদ আহমদ সিরাজ, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক) ঢাকা বিভাগীয়) আব্দুল্লাহ আল মামুন, নির্বাহী সদস্য সাইফ বিন জামাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী বলেন,দারুল উলুম দেওবন্দের আদর্শ কেবল ইলম অর্জনের দিকে আহ্বান জানায় না; বরং ইলমের পাশাপাশি আমল, আখলাক ও উত্তম চরিত্র গঠনের দিকেও গুরুত্বারোপ করে। আমরা দারুল উলুম দেওবন্দের রুহানি সন্তান। তাই আমাদের চলন-বলন, কর্মপদ্ধতি ও জীবনযাপন সবকিছুতেই উসওয়ায়ে হাসানাহর প্রতিফলন থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন,আমাদের কর্মকাণ্ড হতে হবে ইসলামের আদলে, সাহাবায়ে কেরাম ও সালফে সালেহিনের পথের অনুসারী হয়ে। যেকোনো কাজেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের তরিকাকে আঁকড়ে ধরতে হবে। এই পথ থেকে বিচ্যুত হলেই আমাদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রিদওয়ান মাযহারী বলেন, ছাত্রসমাজ হলো দেশের প্রাণশক্তি ও রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। ছাত্রসমাজ যদি সজাগ ও সচেতন থাকে, তবেই একটি সুস্থ সমাজ এবং একটি আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গানের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অথচ এ দেশের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীর আটানব্বই ভাগ শিক্ষার্থীই মুসলিম পরিবারের সন্তান। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে রাষ্ট্র বা শিক্ষা অধিদপ্তরের এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো নৈতিক অধিকার নেই। আমরা এ উদ্যোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
একইসঙ্গে আমরা দাবি জানাচ্ছি— দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং কোরআন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইসলামী মূল্যবোধের আদর্শে গড়ে উঠতে পারে।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন উত্তরা পূর্ব থানা জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশিদ, মহানগর উত্তর ছাত্র জমিয়তের আহ্বায়ক তাওহীদ মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক বায়েজিদ আল হোসাইন, ফজলে এলাহী নোমান, সদস্য সচিব আমিন হোসাইন,
সদস্য আশরাফ আলী, হাসান আহমদ, মাহমুদ হাসান ও মাহদী হাসান নেজামী সহ বিভিন্ন থানা ও ক্যাম্পাসের দায়িত্বশীলবৃন্দ।
উক্ত সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিলে আমিন হোসাইনকে সভাপতি হাসান আহমদ কে সাধারণ সম্পাদক ও জাহিদুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে পঁচিশ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয় ।