JuboKantho24 Logo

দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের সাথে কোন চুক্তি জনগণ মানবে না : চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বাংলাদেশের ডামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ভারতের কাছে মুচলেকা দিয়ে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গায়ের জোরে ক্ষমতায় এসে দু’সপ্তাহের মাথায় দাসখত করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলেছে। ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনের পূর্বের বক্তব্য, ‘তলে তলে সমঝোতা হয়েছে’র রহস্য জাতির কাছে সুস্পষ্ট হয়েছে। আজও সীমান্তে বাংলাদেশীকে হত্যা করছে বিএসএফ। দেশের জনগণ জীবন দিয়ে হলেও সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।

চরমোনাই পীর বলেন, লুটেরারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক খালি করে ফেলেছে। সরকারী আমলা, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের সংবাদ ক্রমেই দেশবাসীর কাছে প্রকাশ হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেললাইন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য চরম হুমকি। ভারতের মুদ্রানীতি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে শোষণ করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ভারত তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশের সড়কপথ এবং রেলপথ ব্যবহার করবে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা গবেষণার নামে বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদ লুট করার জন্য সমুদ্র চুক্তি করা হয়েছে। তথ্য হ্যাকিং ও অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাতের জন্য বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবা ভারত নিয়ন্ত্রণ করার ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের সাথে সুনীল অর্থনীতির নামে ভারত বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলো বিনা শুল্কে ব্যবহার করতে চায়। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতকে সবকিছু উজার করে দিয়েই যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ভারতকে যা দিয়েছি ভারত আজীবন মনে রাখবে’।

আজ বুধবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যাালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর আরো বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রেল করিডর দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। অথচ নেপালে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের ভেতর দিয়ে ১৮ কিলোমিটার করিডর ভারত আমাদের দেয়নি। ভারতকে একতরফাভাবে এত বড় করিডর দেওয়া হলো যে সেটি চালু হলে ভারতের এক অংশ থেকে অপর অংশে যোগাযোগের ক্ষেত্রে পূর্বের রেল যাতায়তের তুলনায় দূরত্ব অনেক কমবে। এতে রেল ব্যবস্থাপনা, মালামাল পরিবহনসহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে আমাদের দেশের ওপর ভারত তার প্রভাব আরও বাড়াবে। এমনকি অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করল কি না, তা বাংলাদেশের জানার অধিকার থাকবে কি না, তাও নিশ্চিত নয়। ফলে তাদের পণ্যের ও যাত্রীর নিরাপত্তার কথা বলে ভারত সামরিক বাহিনী নিয়োগ করলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে।

দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিযাম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, আলহাজ খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম,সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ হারুন অর রশিদ,মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, বীর মক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারূফ, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, আলহাজ আব্দুর রহমান,আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম, ড. মাওলানা বেলাল নূর আজিজী, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, জিএম রুহুল আমীন, মাওলানা নূরুল ইসলাম আলআমিন, অ্যাডভোকেট এম হাছিবুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, হাফেজ মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার।

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ