বাংলাদেশ এখন একটি ঐতিহাসিক সময় অতিক্রম করছে। দীর্ঘদিনের একটি জঞ্জাল পরিস্কার হয়ে, একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। জনতার প্রতিরোধে ফ্যাসিবাদ পালিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। যার এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা কাজ করছিল, তাদের কাছে চলে গেছে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে এক অভূতপূর্ব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, আর সেটা হলো আগামীর বাংলাদেশ ইসলামি বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করা।
আজ (১১ অক্টোবর শুক্রবার) বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত কেরানীগঞ্জের কলাতিয়ায় " আলেমসমাজ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীসহ সকল পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় ও দাওয়াতি সভা"য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগ্রামী সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ মা মু নু ল হক হাফিজাহুল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, ইসলাম কেবলই মুসলমানের তরে দুনিয়াতে আসেনি। ইসলাম মানুষের মুক্তি ও শান্তি নিশ্চিত করে। খেলাফত গোটা মানবতার মুক্তির জন্য। ইসলাম প্রদত্ত সমাজব্যবস্থা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মুক্তির নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। এটা কোন তাত্ত্বিক আলাপ নয়, এটা শুধুমাত্র মুখের গালগল্প নয়। ইতিহাসের নিরিখে এ কথা নিরংকুশভাবে প্রমানিত। ঐতিহাসিক বাস্তবতা হলো- হাজার বছরের ইসলামি খেলাফতের শাসনব্যবস্থা- সকল ধর্মাবলম্বীদেরসহ পুরো মানবজাতিকে যেই শান্তি শৃঙ্খলা নিরাপত্তা দিয়েছেন, মানবজাতির ইতিহাসে তার দৃষ্টান্ত মিলা কঠিন।
তিনি আরো বলেন,
দীর্ঘদিন আমরা স্বৈরাচারী সরকার ও প্রশাসনের চাপে ছিলাম। কাজে বাঁধা ছিল, এখন আল্লাহ তায়ালা সুযোগ করে দিয়েছেন। ইসলামের জন্য উর্বর এই ভূমিতে কাজ করার জন্য আগষ্ট বিপ্লব আমাদের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রের স্লোগান সুশীলতার নামে এখনো শুনা যাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, ধর্মীয় উদারতা আর ধর্মীয় হীনমন্যতা ভিন্ন জিনিস। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নিরাপত্তা ও অধিকার দিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সাংবিধানিকভাবে বদ্ধ পরিকর। তবে মনে রাখতে হবে,ধর্ম যার যার, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান তার তার। ধর্ম যার যার উৎসব সবার, এটি একটি কুফরি স্লোগান। এটা ছিল আওয়ামী ফ্যসিস্টদের বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার পরিকল্পনার অংশ। এ দেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার পায়তারা। ফ্যাসিবাদের বিদায়ের সাথে সাথে তার সকল ষড়যন্ত্রেরও বিলোপ করতে হবে।
ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা জাকির হুসাইনের সভাপতিত্বে ও সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শফীকুল ইসলাম ও বাইতুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মোশাররফ হুসাইন লাবীবের সঞ্চালনায় উক্ত মতবিনিময় ও দাওয়াতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী,সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান, সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ।
আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা তাসলিম হুসাইন, মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ, খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা জেলা দক্ষিণ এর সহসভাপতি মাওলানা হেলাল আমীন, প্রশিক্ষণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা হুসাইন আহমদ, সমাজ কল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা হাবীবুল্লাহ সিরিজ, মাওলানা আমীনুদ্দীন, মাওলানা নাঈম বিন মুক্তার দোহার উপজেলা শাখা প্রতিনিধি মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা মুফিদুল ইসলাম ও খেলাফত ছাত্র মজলিস ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুর রহমান প্রমূখ।