ধর্ম ও মতের পার্থক্য থাকলেও আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সাথে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ধর্মীয় নেতাদের সংলাপ চলছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নানা মত থাকবে, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতি-নীতি থাকবে। এটাইতো পরিবার। আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতেই জোর দিয়েছিলাম। আমাদের সকল পাথর্ক্য সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই।’
জাতীয়তা ও পরিচয়ের প্রশ্নে সবাই আমরা এক জায়গায় চলে আসি, বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
সংবিধান অনুযায়ী সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, একটা দাবি আমাদের একদম পরিষ্কার আমাদের সবার সমান অধিকার। বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে আমাদের সংবিধান থেকে। নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রাপ্য। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো তা নিশ্চিত করা। এটা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। সংবিধান নাগরিককে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্বগুলো তার কাছে পৌঁছে দেয়া, নিশ্চিত করা।’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধরে রাখতে হলে কী করা উচিত তা ধর্মীয় নেতাদের কাছে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। একইসাথে সরকারের করণীয় কী তাও জানতে চান তিনি।
সংলাপে অংশ নিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমাদুল্লাহ, ফরহাদ মজহার, বৌদ্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বায়তুল মোকাররমের খতিব আব্দুল মালেক, হেফাজতে ইসলামীর পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এছাড়া কোনো সংগঠন বা ধর্মীয় রাজনীতিতে যুক্ত নয়, কিন্তু নিজ সম্প্রদায়ের বোদ্ধা ব্যক্তি এমন ব্যক্তিরাও সংলাপে অংশ দিয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি