ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ২০২৩ সালের শেষ দিনের রাতে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে ডিএমপির এই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফানুস উড়ানো হয় এবং পটকা ফোটানো হয়।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে গুলশান, রামপুরা, মহাখালী, শান্তিনগর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পটকা ও আতশবাজি ফোটাতে থাকেন অনেকে। আবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ির ছাদ থেকে ওড়ানো হচ্ছে ফানুসও।
কয়েকটি এলাকার বাসা বাড়ি ও ফাঁকা জায়গা থেকে ফানুস ওড়াতে দেখা যায়। তাদের ওড়ানো ফানুস রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা গেছে। এর ফলে বাসিন্দাদের মধ্যে আগুন লাগার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছরই ফানুস উড়ানো এবং পটকা আর আতশবাজি ফুটানোতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ডিএমপি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন এলাকায় ফানুস উড়ানো হচ্ছে এবং আতশবাজি ফুটানো হচ্ছে। এতে করে অগ্নিসংযোগের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও কীভাবে ফানুস উড়ানো হয় কিংবা আতশবাজির ফোটানো হয়, সেটা নিয়েও তারা প্রশ্ন রাখছেন।
রাজধানীর শাহাজাদপুরের বাসিন্দা মো.জয়নাল বলেন, রাত দশটার পর থেকে আমার ভবনের ছাদের উপর দিয়ে দুটি ফানুস উড়ে যেতে দেখেছি। আমি আতঙ্কে ছিলাম এসব ফানুস ভবনে পড়ে আগুনের সৃষ্টি হয় কি না। পুলিশ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরেও কীভাবে ফানুস বিক্রি হয়েছে, সেইটা আমার প্রশ্ন। আজ যদি ফানুস পড়ে আমার ভবনে আগুন লাগে, এর দায় কে নেবে।
রামপুরার বাসিন্দা নাঈম রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশ দায় সেরেছে। মানুষ আগে থেকে ফানুস কিনে রেখেছে আর ছাদ থেকে ফানুস উড়ানো ঠেকাতে কোনো পরিকল্পনা নেই। যার ফলে আকাশে এতো ফানুস। এতে অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এর আগে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যেন ফানুস ওড়ানো না হয় এবং আতশবাজি না ফোটানো হয় সে বিষয়ে প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার সকালে থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, নগরবাসীকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এগুলো মেনে চলেন। থার্টি ফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যার পর বারিধারা, গুলশান বনানী, হাতিরঝিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলাচল বন্ধ থাকবে এবং বহিরাগত কেউ এসব এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। হাতিরঝিলে সন্ধ্যার পর কেউ যেতে পারবে না এবং ওইখানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আতশবাজি-পটকা ফুটানো এবং ফানুস উড়ানো সম্পূর্ণ নিষেধ। এ বিষয়ে প্রতিটি থানায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ফানুস ও আতশবাজি যেসব এলাকায় বিক্রি হয় সেসব জায়গায় আমিরা অভিযান পরিচালনা করেছি।