
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, পিআর পদ্ধতি, সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের আগে যারা গণভোটের দাবি করছে, তারা প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের করার সহায়ক মনে করছে সাধারণ জনগণ। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ যারা আওয়ামীলীগকে বিনা শর্তে ক্ষমা করে দিয়েছে তারাই আজ পিআর, সংস্কার ও গণভোটের নামে নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টা করছে। দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প নেই। নির্বাচন সরকার ঘোষিত যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হতে হবে।
আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ জমিয়ত কার্যালয়ে যুব জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী এসব কথা বলেন।
যুব জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুফতি তাওহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রিয়াজুল ইসলামের পরিচালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মুফতি চৌধুরী নাসির আহমদ, মাওলানা মাঈনুদ্দীন মানিক, মাওলানা বাইজিদ মাহমুদ, মাওলানা নাসির উদ্দিন আকন্দ, মুফতি তৌফিক কাসেমী,মুফতি ইউনুস, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা শাফায়াত হোসাইন প্রমুখ।
জমিয়তের প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী বলেন, প্রশিক্ষণ একটি সংগঠনের ভিত মজবুত করার অন্যতম প্রধান উপাদান। দক্ষ নেতৃত্ব, আদর্শিক দৃঢ়তা, সংগঠনিক সচেতনতা ও সময়োপযোগী কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। একজন কর্মী কিংবা নেতা যখন সঠিক প্রশিক্ষণ লাভ করে, তখন সে কেবল একটি সংগঠনের প্রতিনিধিই নয়; বরং সমাজ, দেশ ও জাতির উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে।
নেতৃবৃন্দ বলেন,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ দেশের রাজনীতিতে একটি ঐতিহাসিক ও নীতিনিষ্ঠ ইসলামী সংগঠন। দলটি স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে খতমে নবুওয়াত রক্ষা, কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি, সমাজ সংস্কার ও নৈতিক রাজনীতির প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
বক্তারা বলেন,জমিয়ত বিশ্বাস করে, আদর্শিক রাজনীতি গড়ে তুলতে হলে প্রশিক্ষিত ও সচেতন নেতৃত্ব তৈরি করা আবশ্যক। এ লক্ষ্যে জমিয়ত কেন্দ্রীয় ও শাখা পর্যায়ে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু রেখেছে।
Jamiat Ulama-e-Islam Bangladesh