
পাকিস্তান ও সৌদি আরব সম্প্রতি একটি ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ ঘোষণা করেছে—যে কোনো এক দেশের ওপর আগ্রাসন হলে তা অপর দেশের ওপরও আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ, একে অপরের নিরাপত্তা রক্ষায় উভয় দেশ অঙ্গীকারবদ্ধ হলো।
বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় এ ধরনের চুক্তি নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং টিকে থাকার অপরিহার্য কৌশল। মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি-পাকিস্তান জোট নতুন শক্তির ভারসাম্য তৈরি করবে। এর প্রতিফলন দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত নিরাপত্তায়ও পড়তে পারে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশকেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বরং অতিদ্রুত চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে কার্যকর নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করা এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্যে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকবে।