ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ফয়জুর রহমান (রহ.) বড় মসজিদ মাদরাসার প্রধান প্রখ্যাত ময়মনসিংহের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা আব্দুল হককে অসম্মানজনকভাবে খণ্ডকালীন শিক্ষক ঘোষণা করেন পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদে দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহাম্মাদ মুফিদুল আলম। আর এই ঘটনায় গত পাঁচ দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন মাদরাসা শিক্ষার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে কিছুদিন আগে বহিষ্কৃত হন মাওলানা আজিজুল হক (বোররচরের হুজুর)। কিন্তু মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মুহাম্মাদ মুফিদুল আলম ‘তদন্তপূর্বক’ মাওলানা আজিজুল হকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন। একই সঙ্গে মুফতী মোফাজ্জল হককে শিক্ষক পদ থেকে বহিষ্কার করেন এবং মুফতী সারোয়ার হোসেনকে মাদরাসার উপাধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ ও পরিচালনা কমিটি থেকেও সরিয়ে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদরাসাটির একজন ছাত্র বলেন, ময়মনসিংহের ডিসির নেতৃত্বে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে ফয়জুর রহমান মাদরাসার পরিবেশ অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে। প্রেক্ষাপটে ফয়জুর রহমান মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানিয়ে দিয়েছে, তারা এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
গত পাঁচ দিনের ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার (৩০ জুলাই) রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে মাদরাসার ছাত্ররা। এ সময় তারা চার দফা দাবি পেশ করে।
ছাত্রদের উত্থাপিত চার দফা দাবি:
১। মাওলানা আজিজুল হক (বোররচরী)-কে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে লিখিত প্রজ্ঞাপন জারি।
২। সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে বেয়াদবিমূলক আচরণের জন্য সভাপতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহাম্মাদ মুফিদুল আলমকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩। বেআইনিভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষকদের পুনর্বহাল করতে হবে।
৪। শিক্ষক নিয়োগ ও বহিষ্কারের বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নয়, বরং দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
আন্দোলনতরত শিক্ষার্থীরা জানিয়ে তারা বলেন, আমরা হকপন্থীদের সম্মান রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। দেশ মুনাফিকদের নয়, বরং মুসলমানদের ঘাঁটি।