বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুর রহমানের বক্তব্যে দ্বীনপন্থী আন্দোলনকারীদেরকে ‘কালো শক্তি’ আখ্যা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামি আদর্শে বিশ্বাসী ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে কালো শক্তি বলা নিছক রাজনৈতিক বিদ্বেষ এবং সত্যের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইসলামী ছাত্রসমাজ সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠায় আত্মদান করেছে। অথচ সেই ত্যাগী আন্দোলনকারীদের কালো শক্তি বলা ইতিহাস বিকৃতির এক ঘৃণ্য অপচেষ্টা।
তারা বলেন, “আমরা বিস্মিত হই যখন দেখি—সাবেক ছাত্রনেতা হয়েও ফজলুর রহমান আওয়ামী সরকারের দালালি করে দ্বীনপন্থী শক্তিকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। অথচ ইসলামি আন্দোলন কখনোই জাতির শত্রু হয়নি; বরং দেশ ও জনগণের স্বার্থেই সংগ্রাম করেছে। জনগণ জানে কারা গণহত্যা চালিয়েছে, কারা রক্ত দিয়ে এদেশকে কলঙ্কিত করেছে। তাই দ্বীনপন্থী শক্তিকে কালো বলার মানে জনগণের রক্তকে কালিমালিপ্ত করার শামিল।”
তারা আরও বলেন, “আওয়ামী সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনযন্ত্রের মুখপাত্র হিসেবে ফজলুর রহমানের এ বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে দ্বীনবিরোধী আওয়ামী-ভারতীয় দোসররাই এই জাতির কালো শক্তি।”
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেন—
দ্বীনভিত্তিক আন্দোলনই এই জাতির আশার প্রতীক, কালো শক্তি নয়।
ইসলামী আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার যে কোনো অপচেষ্টা জনগণ রুখে দেবে।
ফজলুর রহমানের এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রতিবাদকারী:
মুফতি কামালুদ্দীন
সভাপতি, বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ
মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন
সেক্রেটারি, বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ