আজ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বাদ জুমা হেফাজতে ইসলাম বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ কর্তৃক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে জঘন্য কটূক্তি এবং বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানে কর্তৃক তাকে সমর্থন করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বগুড়া জেলা শাখার সম্মানিত উপদেষ্টা এবং জামিল মাদরাসার শাইখুল হাদিস আল্লামা ইয়াকুব নজির- এর সভাপতি এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বগুড়া সাতমাথার মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারতের বিজেপি সরকার কোটি কোটি মুসলমানের বুকে আঘাত হেনেছে। এই আঘাতে একদিন ভারত খন্ড-বিখন্ড হয়ে ভারতের লালকেল্লায় ইসলামের পতাকা উড্ডীন হবে ইনশাআল্লাহ। বক্তাগণ বলেন, ভারতের ব্রাহ্মণ্যবাদী সরকারের আচরণে মনে হচ্ছে যেনো তারা অচিরেই গজওয়াতুল হিন্দের পদধ্বনি শুরু করেছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর দেশের জনগণ এখন একতাবদ্ধ হয়েছে। এখন আর কারো চোখ রাঙ্গানি দেখার সময় নেই। আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু প্রভুত্ব কখনোই মেনে নিবো না। সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম বগুড়া জেলা শাখার সেক্রেটারি কারবালা মাদরাসার শাইখুল হাদিস মাওলানা কাজী ফজলুল করিম ছয়টি দাবি পেশ করেন:
১. ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ কর্তৃক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে জঘন্য কটূক্তি এবং বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানে কর্তৃক তাকে সমর্থন করায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারকে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাতে হবে।
২. এই ঘটনায় অবিলম্বে ভারতের হাইকমিশনারকে প্রত্যাহার করতে হবে।
৩. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে কটুক্তকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করতে হবে।
৪. বর্তমান শিক্ষা কমিশনে দুইজন যোগ্য আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. ট্রান্সজেন্ডারের নামে সমকামীতাকে কোনোভাবেই প্রমোট করা যাবেনা। তবে হিজড়াদের ন্যায্য অধিকার এবং সম্মানজনক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের আন্দোলনে যে সমস্ত নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন, আহত হয়েছেন তাদের সকলকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে হেফাজতে ইসলামের নামে সকল মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
উক্ত সমাবেশে অন্যানের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বগুড়া জেলা শাখার সহসভাপতি মুফতি আতাউল্লা নিজামী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মামুনুর রহমানী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল ওয়াহেদ, জামিল মাদরাসার মুফতি শামসুজ্জোহা, মাওলানা আনোয়ার উল্লাহ, হেফাজতে ইসলাম বগুড়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি ইন্জিনিয়ার শামসুল হক, বগুড়া সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব মুফতি মনোয়ার হোসেন, কারবালা মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল হান্নান, মাওলানা ফজলুল করিম সিরাজী, মুফতি সালাউদ্দিন মাসুদ, মাওলানা আব্দুল মাজেদ আনসারী, মাওলানা মোস্তফা মাদানী, মাওলানা কামরুল ইসলাম আজাদী প্রমুখ।