
বিপ্লবের ছায়ায়—এক নিরন্তর ফিরে আসা
দিগন্ত পেরিয়ে আসছে তারা—কেউ হাতে হাল, কেউ হাতে কলম, কেউবা শ্রমের ঘামে রঞ্জিত। কৃষক, শ্রমিক, আলেম, ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী—সবাই যেন শাপলার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফিরে আসছেন দ্বীনের ডাকে, খেলাফতের ছায়ায়। এই তো কিছুদিন আগেও যারা ছিলেন নীরব দর্শক, আজ তারা মঞ্চে উঠে বলছেন—”আমরাও আছি এই কাতারে!”
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের এক বছর—এ যেন এক সজীব স্মৃতি, অবিনাশী চেতনার শিখা। এই বিপ্লব উন্মোচন করেছে নতুন দিগন্ত—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে যোগদানের দরজা খুলে দিয়েছে সর্বস্তরের মানুষের জন্য। প্রতিদিন, প্রতি প্রহর, দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ দলবেঁধে আসছেন, হৃদয়ে দীপ্ত একটিই স্বপ্ন নিয়ে: খেলাফতের সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করা।
এইসব ছবি শুধুই কিছু মুখ নয়—এগুলো এক প্রত্যয়, এক শপথ, এক স্বপ্নযাত্রার দলিল।
এই নবজাগরণের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক—এদেশের ইসলামী আন্দোলনের নির্ভীক অগ্রনায়ক, তাওহীদি জনতার অবিসংবাদিত কণ্ঠস্বর। তার বজ্রকণ্ঠে মানুষ শুনেছে সাহসের বার্তা, তার সংগ্রামে পেয়েছে মুক্তির দিশা। তিনি কেবল একজন ব্যক্তি নন—তিনি এক আদর্শ, এক প্রতীক, যিনি যুগের আঁধারে দীপ্ত মশাল হয়ে উদিত হয়েছেন।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের এক বছর পেরিয়েও যার ধ্বনি আজো রাজপথ কাঁপায়, ঘরে ঘরে জ্বালায় চেতনার আলো—সেই বিপ্লব আজ পরিণত হয়েছে লাখো হৃদয়ের দৃপ্ত সংকল্পে:
“আমরাও আছি শাপলার এই কাফেলায়!”
এই ছবিগুলো কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন নয়—এ এক জাগ্রত ঘোষণা:
খেলাফত আসছে, ইনশাআল্লাহ।
আর এই পথের অগ্রদূত—মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, যিনি আছেন, থাকবেন, এবং পথ দেখাবেন।
আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি—
শাপলা গণহত্যা ও জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ আমাদের সেই দ্বীনি ভাইদের, যাঁরা রাসূল সা. এর ভালোবাসা আর হক্বের পতাকা উঁচু রাখতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন।
স্মরণ করছি সেইসব আহত ও নির্যাতিত জনতার ত্যাগকে—যাঁদের ত্যাগ ও দৃঢ়তায় আজকের এই নবজাগরণ বাস্তবতা পেয়েছে।
আল্লাহ তাআলা তাঁদের কবুল করুন, এবং আমাদের তাঁদের পথেই অবিচল রাখুন।
#শাপলারপথে
#বাংলাদেশ_খেলাফত_মজলিস
#জুলাইআগস্ট_বিপ্লব
#মামুনুল_হক
#খেলাফতের_জাগরণ