JuboKantho24 Logo

বাইতুল মুকাররমে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি চরমোনাই পীরের

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমবলেছেন, সরকার দেশে বাকশাল কায়েমের চক্রান্ত করছে। দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েমের জন্যই খোড়া অজুহাতে বায়তুল মোকাররম এলাকায় মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করছে। বায়তুল মোকারম মসজিদ গেটে যে সকল ইসলামী দল মিছিল মিটিং করেন, তারা মূলত মসজিদের সম্মান ও আদব রক্ষা করে এবং মুসল্লিদের যেন কোন সমস্যা না হওয়া সেদিকে দৃষ্টি রেখেই সভা সমাবেশ করে থাকেন। কাজেই নামাজে আসা মুসল্লিরা আতঙ্কিত হওয়ার অজুহাতে জাতীয় মসজিদ এলাকায় মিছিল মিটিং নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করলে তা সরকারের জন্য সুখকর হবে না।

চরমোনাই পীর আরও বলেন, প্রহসনের নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার পর সরকার বিরোধী দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থ চেষ্টা করছে। এ সরকার জনরোষের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বিরোধী দলসহ ইসলামী দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিলস্থলে আয়োজিত ওলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওলামা সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও বসুন্ধরা শায়খ জাকারিয়া ইসলামী রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসার নাজেমে তালিমাত হাফেজ মোফাজ্জল হোসাইন, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. একে এম ইয়াকুব হোসাইন, প্রফেসর নজরুল ইসলাম সহ দেশের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামগন।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থায় দেশ ও ইসলাম রক্ষায় বৃহত্তর ঐক্যের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন ওলামা মাশায়েখবৃন্দ । তারা পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে দেশে একটি কার্যকর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেয়ার কথাও বলেন।

পাঠ্যপুস্তকে ট্রান্সজেন্ডার প্রমোটের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, এটা সুদীর্ঘ মাস্টার প্ল্যানের অংশ। একটি কুচক্রী মহল এদেশের মানুষের ঈমান-আকীদা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদেরকে এখনই প্রতিহত করতে না পারলে দেশের জন্য আরো ভয়ঙ্কর সময় অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেন ওলামা নেতৃবৃন্দ।

ওলামাবৃন্দ বলেন, মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম একজন আধ্যাত্মিক এবং দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতা। সুতরাং এদেশের আপামর জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর পরিবর্তন তথা গণবিপ্লব তাঁর দ্বারাই সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন ওলামা মাশায়েখগন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাড়াতে হবে। ফিলিস্তিনে নারী ও শিশুহত্যা বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, গাজায় প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, এর বেশিরভাগ নারী ও শিশু। সেখানে হাসপাতালে হামলা করা হচ্ছে, অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, হাসপাতালের বিদ্যুৎ লাইন ধ্বংস করা হয়েছে, যার কারণে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর হামলা করা হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে এটি ভাবা যায় না। তবুও বিশ্বমোড়লরা নির্বাক এবং আরব বিশ্ব যে ভূমিকা রাখার দরকার ছিল, সাধারণ মানুষের ধারণা তারা সেখানে সে ভূমিকা রাখেনি। ইসরায়েলি হিংস্র হায়েনারা বিশ্বব্যাপী অশান্তি সৃষ্টি করে রেখেছে।

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ