
আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সা.)-এর প্রকাশ্য বিরোধিতা করায় আবুল সরকার যেমন মুরতাদ হয়ে গেছে, তেমনি ভণ্ড কবি-দার্শনিক ফরহাদ মজহারও মুরতাদ হয়ে গেছে – এমন মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার দপ্তর সম্পাদক মাওলানা বেলাল হুসাইন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্তৃক আয়োজিত ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে বাউল আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করে ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে বসবাস করবে – এটা কোনো মুসলমান মেনে নেবে না। তাই আবুল সরকারসহ এ ধরনের সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সকাল সাড়ে ১১টায় জামিয়া ইউনুসিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় বক্তব্য দেন – মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ মাদানী, মাওলানা মাইনুদ্দিন, মাওলানা মীর খায়রুজ্জামান, মাওলানা জাকারিয়া সাইফ, মাওলানা রিয়াজুল করিম রিফাত, মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত, মাওলানা ফরহাদ প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নতুন ঘোষিত রাজনৈতিক দলের কিছু ব্যক্তি ছাদের নিচে আলেমদের নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে। সতর্ক হয়ে যান, জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাঞ্জা লড়বেন না, তাহলে বাংলার জমিন থেকে অস্তিত্বহীন হয়ে যাবেন।
পরিশেষে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা বেলাল হুসাইন সকলের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি পেশ করেন –
১) ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে বাউল আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
২) সংবিধানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ করা।
৩) দেশের সকল মাজারে অশ্লীল গান-বাজনা ও মাদক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা।
নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন – অবিলম্বে আবুল সরকারের বিচার শুরু না হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন সারাদেশে কঠোর কর্মসূচিতে রূপ নেবে।
বিক্ষোভে শতাধিক মাদরাসার ছাত্র-উস্তাদ এবং ধর্মপ্রাণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




