JuboKantho24 Logo

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ভবন মসজিদুল হারাম

কাবা ঘরকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবের মক্কায় গড়ে উঠেছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম পবিত্র মসজিদ, মসজিদুল হারাম। মুসলিমরা হজ ও ওমরা পালনের জন্য মসজিদটিতে একত্রিত হন, এতে নামাজ আদায়ের ইচ্ছা পোষণ করেন বিশ্বের প্রত্যেক মুসলিম।

পবিত্র কাবা শরীফকে কেন্দ্র করে চারদিকে গড়ে উঠা মসজিদুল হারামের ভিতরের এবং বাইরের নামাজের স্থানসহ এর আয়তন হলো ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ বর্গমিটার (৮৮.২ একর)। মসজিদ আল-হারামের ৯টি সুন্দর ও সুউচ্চ মিনার একে অনন্য দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে।

মসজিদ আল-হারামের ৮১টি দরজা রয়েছে। যার প্রত্যেকটি সব সময় উন্মুক্ত থাকে। হোমস অ্যান্ড প্রোপার্টি মসজিদ আল হারামের স্থাপনার নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করেছেন ৭৫ বিলিয়ন ইউরো (১০০ বিলিয়ন ডলার)। যা মসজিদে হারামকে দামি স্থাপনাগুলোর শীর্ষে নিয়ে এসেছে।

মসজিদটিতে একসঙ্গে চার মিলিয়ন মুসল্লির ধারণক্ষমতা রয়েছে। মসজিদুল হারামে অবস্থিত কাবা শরিফকে ঘিরে তাওয়াফ করেন মুসলমানরা। কাবা শরিফের পাশে রয়েছে মাকামে ইবরামি এবং হাজরে আসওয়াদ। হজ ও ওমরার সময় মুসলমানরা হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করেন।

হজ ও ওমরার সময় পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমের পেছনে দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়েন ইবাদতকারীরা।

বায়তুল্লাহকে (কাবা শরিফ) ঘিরে গড়ে ওঠা মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় পৃথিবীর অন্য যেকোনও স্থানও ও মসজিদে নামাজের থেকে বেশি সওয়াবের। আল্লাহর রাসুল নিজের পবিত্র জবানে উচ্চারণ করেছেন সে কথা। বর্ণিত হয়েছে, ‘অন্যান্য মসজিদের নামাজেরর তুলনায় মসজিদুল হারামের নামাজ এক লক্ষ গুণ উত্তম।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৪০৬)

বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, শুধু তিনটি মসজিদের উদ্দেশে সফর করা যাবে- আমার এই মসজিদ (মসজিদে নববী), মসজিদে হারাম ও মসজিদে আকসা। -(সহিহ মুসলিম, সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৮৯)

অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত জাবির (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমার এই মসজিদে একটি নামাজ অন্য মসজিদে হাজার নামাজ থেকেও উত্তম। তবে মসজিদে হারাম ছাড়া। কেননা, মসজিদে হারামে একটি নামাজ অন্য মসজিদের এক লাখ নামাজের চেয়ে উত্তম। -(মুসনাদে আহমদ)

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ