
মসজিদকে কোন ধরনের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি কাজী আবু হুরায়রার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন এবং মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন।
জমিয়াত সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দেশের ইমাম-খতীব ও আলেম ওলামাদের মতামতের ভিত্তিতেই আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। আপনারা সুসংগঠিত ও একতাবদ্ধ থাকবেন। মসজিদকে কোন ধরনের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না। দেশ বিনির্মাণ ও সংস্কারে ইমাম-খতীবদের ভূমিকা অপরিসীম স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন ইসলামিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় দিবসের আলোচনায়, বিশেষ করে জুম্মার খুতবা হতে নিরপেক্ষ। কোন রাজনৈতিক দলকে খুশি করা কিংবা তাদের থেকে স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজেকে বিক্রি করবেন না। আল্লাহর দরবারে আপনাদের প্রত্যেকের জবাব দিতে হবে। ঈমান, আকীদা, মাজহাবের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া যাবে না।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও ইমাম-খতীবগণ সেই দলের সাথেই সখ্যতা গড়বে যাদের দ্বারা ইসলাম ও ইসলামি তাহজিব-তামাদ্দুন অক্ষুণœ থাকবে।
মহাসচিব শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন সব সময়েই আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, দরবার-খানকাহ্, বিশেষ করে ইমাম-খতীবদের সাথে ছিল এবং থাকবে। এ সংগঠন কেবল শিক্ষকদের উন্নয়নেই কাজ করে এমনটি নয়, বরং দেশের ইসলাম ও তাসাউফ রক্ষায় বিশেষ করে হানাফি মাজহাব ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করে থাকে। মাদরাসা শিক্ষকগণ যেমনিভাবে মানুষকে একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলে, অনুরূপ একজন ইমাম ও খতীব নিজেদের বয়ান ও আচরণের মাধ্যমে মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকে।
যারা বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার, মসজিদসহ বিভিন্ন জায়গায় অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন, তাদের এহেন অনৈতিক কাজের তীব্র নিন্দা জানান উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির কোষাধ্যক্ষ অধ্যক্ষ মুফতী মাওলানা এজহারুল হক, জমিয়াত যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু জাফর মো. ছাদেক হাসান, ইমাম সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি আক্তারুজ্জামান, মাওলানা মাসউদ আহমদ, প্রফেসর আবু নোমান, মো. মতিউর রহমান, হাফেজ মাওলানা বায়েজীদ হোসাইন, হাফেজ মাওলানা আব্দুল কাদির তাওহীদ, মাওলানা মো. নূরুল হক, হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, মুহাম্মদ আখতার ফারুক, মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান প্রমুখ।