নূরানী তা’লীমুল কুরআন নামে কারী বেলায়েত হুসাইন রহ. আধুনিক যুগোপযোগী যে শিক্ষাপদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন, সে সম্পর্কে গভীর পর্যবেক্ষণ করলে এ কথা বলতে হবে যে, তিনি বাংলাদেশে এক নীরব বিপ্লব সাধন করেছেন। তাঁর এ বিপ্লবের মূল হাতিয়ার হলো দুটি-
প্রথমটি হলো-কলমের ব্যবহার।
দ্বিতীয়টি হলো- নূরানী মক্তব শিক্ষার সাথে নিজস্ব পদ্ধতিতে সাধারণ শিক্ষার অপূর্ব সমন্বয়।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে খ্রিস্টান এনজিওগুলো সুকৌশলে ঈমান বিধ্বংসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের অন্যতম ব্যবস্থাপনা হলো স্কুলপ্রোগ্রাম। আলহামদুলিল্লাহ ! কারী বেলায়েত হুসাইন রহ. প্রণীত তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষা সমন্বিত নূরানী মক্তব প্রোগ্রাম এনজিও যড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিপ্লবী ভূমিকা পালন করে চলেছে। হাফেজ্জী হুজুর রহ: এর ইলহামি রাহনুমায়ী আর নিজের একনিষ্ঠ সাধনার সাথে রহমতে খোদাওয়ান্দি শামিলেহাল হওয়ার পর তার সুফল কেমন ফলতে পারে, পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ আজ তার জীবন্ত স্বাক্ষী। আজ চক-শ্লেটের কারিশমায় কুরআনি অক্ষরজ্ঞানের আওয়াজ মুখরিত করে চলছে সবুজ বাংলার হাজারো জনপদ। নূরানী পদ্ধতির কুরআনী শিক্ষা শিশুদের মনে আনন্দঘন শিক্ষার উপলব্ধি তৈরি করে। ফলে শিশুরা হাসি আর আনন্দে দুলতে দুলতে রপ্ত করে নেয় কুরআন শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ। কুরআন তেলাওয়াতের দৌলত থেকে বঞ্চিত কর্মব্যস্ত বয়স্ক মানুষসহ নির্বিশেষে সব বয়সের মানুষের মধ্যেই নূরানী পদ্ধতির আকর্ষণীয় লেখা আর পড়া অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে।
আল্লাহ তা’আলা তাঁর অসমাপ্ত কাজের জিম্মাদারি গ্রহণ করুন। আর চির শান্তির ঘুমে বিভোর করে রাখুন কুরআনের প্রেমে নির্ঘুম পথচলা এই আশেকে কুরআনকে। (আমিন)।
.......[স্বারকগ্রন্থ]....