
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা খেলাফতে ছাত্র মজলিসের সাংগঠনিক অবস্থা, কার্যক্রম, নেতৃত্ব এবং সার্বিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে ক্যাম্পাসে হাজির হয়েছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদের সদস্য আশরাফুল ইসলাম সাদ এবং মাহদী হাসান শিকদার। পরবর্তীতে তারা সাংবাদিকদের সাথে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে মতবিনিময় এবং প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদেক আহমেদ, সহ সভাপতি নোমান হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ খান, অর্থ সম্পাদক ইকরাম হুসাইন, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ক্যাম্পাস সম্পাদক জিহাদ মোল্লা, ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইকরামুল হক, এবং পাঠাগার সম্পাদক রাকিব হুসাইন উল্লেখযোগ্য।
বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদের সদস্য আশরাফুল ইসলাম সাদ বলেন, “স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করা এবং সামনে নবীন শিক্ষার্থীদের আগমন উপলক্ষে তাদের জন্য কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে আমার ক্যাম্পাসে আগমন।”
শিক্ষার্থীরা কেন ছাত্র মজলিসে যোগদান করবে, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “মূলে ইসলামী ছাত্র মজলিস ছাত্রদের সংগঠন। তারা শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং একাডেমিক বিষয় নিয়ে কাজ করে। শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীরা নয়; অমুসলিম শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়েও তারা সোচ্চার থাকবে। নৈতিকতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সকল অধিকার রক্ষায় ছাত্র মজলিস নিবেদিতপ্রাণ।”
আসন্ন ইকসু নির্বাচনে আলাদা প্যানেল উপস্থাপনের কথা জানান তিনি। বলেন, “আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং প্রতিনিধিত্বমূলক প্যানেল গঠনের পরিকল্পনা করছি। আপাতত জোটের বিষয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই। তবে, কেন্দ্রের পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে যদি প্রয়োজন মনে করি, তবে জোট গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।”
সংগঠনের আর্থিক খাত সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের নির্দিষ্ট কোনো আর্থিক খাত নেই। সংগঠনের সদস্যরাই আর্থিক অবদান রাখেন। সদস্যরা নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুদান দেয় এবং পাশাপাশি শুভাকাঙ্ক্ষীরা সহযোগিতা করেন।”
ইসলাম ভিত্তিক অন্যান্য সংগঠনের সাথে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে গেলে তিনি উল্লেখ করেন, “ইসলামপন্থী সংগঠনগুলো একাধিক উদ্দেশ্যের দিকে লক্ষ্য রাখে। কর্মপদ্ধতি এবং সাংগঠনিক কাঠামো আলাদা হতে পারে। তবে বৃহৎ স্বার্থের জন্য আমরা একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করবো।”