মুহাম্মদ আহনাফ হাসান খান:
১.
বাগদাদের খলিফা নাসিরের মন খুব খারাপ। বহুত পেরেশানিতে আছেন। পায়াচারি করছেন চিন্তিত মস্তিষ্কে। তার পোষা কবুতরটি পাওয়া যাচ্ছে না। তিনদিন হয়ে গেল। চারিদিকে লোক পাঠিয়েছেন। কবুতরটি অনেকদিন ধরে তার খেলার সাথী। গায়ে ডোরাকাটা দাগ, যেন তুলির আঁচড়। উপঢৌকন হিসেবে পেয়েছিলেন। খলিফা উপর থেকে দেখলেন এক দূত দৌড়ে আসছে। হয়তো কোনো খোঁজ খবর মিলেছে কবুতরের। খলিফা এগিয়ে গেলেন। তাকে শোনানো হল জগতের সবচেয়ে সুন্দরতম শহর সমরকন্দের পতন ঘটেছে। লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শুনে খলিফা বিরক্ত হলেন। দূতকে একটা কড়া ধমক দিলেন, হাবিজাবি বাদ দাও তো। আমি আছি আমার পেরেশানিতে। আমার প্রিয় হামামার খোঁজ পাচ্ছি না। হামামার খোঁজ লাগাও জরুর!¹
খলিফার কাছে সমরকন্দের কোনো মূল্য নেই। সমরকন্দের চেয়ে তার পোষা হামামার মূল্য বেশি। হাফিজ তার প্রিয়ার গালের কালো তিলটির জন্য সমরকন্দ-বুখারা বিলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তবে হাফিজের প্রিয়ার তিলটি কি খলিফার হামামার চেয়ে দামী? হবার কথা না। তাছাড়া সমরকন্দ বুখারা হাফিজের ছিল না। খলিফা নাসিরেরও নেই। থাকলে হয়তো খলিফা তার খেলার সাথীর বিনিময়ে সমরকন্দ বুখারা দিয়ে দিতেন। খলিফার জন্য কবির চেয়ে কৃপণ হওয়া সাজে না। কবি বলেছেন, পৃথিবীতে যদি জান্নাত দেখতে চাও তবে সমরকন্দকে দেখো।² কবির কাছে সমরকন্দ জান্নাত। আবার কবির কাছেই প্রিয়ার ছোট কালো তিল। খলিফা নাসিরের কাছে পোষা কবুতর। তৈমুরের কাছে আবার জান্নাত।
তোমার অঙ্গে দেখেছি বহুরূপ প্রিয়,
আমি দেখেছি বহুবার বহুবার।
সেই বহুরূপি সমরকন্দ চেঙ্গিস খানের কাছে লাশের খুলি, খুলি দিয়ে সাজানো পিরামিড। যে পিরামিড দিয়ে এখনো তাজা রক্ত ঝরছে। হাজার হাজার খোলা চোখে তাকিয়ে আছে সেই পিরামিড।
২.
খলিফা নাসিরের সময়ে বিশ্ব এ প্রলয়ংকরী তাণ্ডবের সাক্ষী হয়। এ তাণ্ডব হলো তাতারি তাণ্ডব। তেমুজিন চেঙ্গিস খান সেই প্রলয়ের সেনাপতি। একে একে মাটির সাথে মিশে যায় তাশখন্দ, আতরার, বুখারা, সমরকন্দ, রায়, আর্দাবিল, হামদান, কাজবিন।³ এত এত লাশ পড়ে থাকে যে গুনে ওঠা সম্ভব হয় না।⁴ মা ওয়ারাউন নাহারের জান্নাতে নিমিষেই জাহান্নামর ধোঁয়া ওঠে। কেমন ছিল সে জান্নাত? ইবনে খালদুনের ভাষায়, আল্লাহর জমিনে এর চেয়ে নির্মল, সুন্দর শহর আর নেই। ইবনে হাওকাল লেখেন, তুমি বুখারার কেল্লায় দাঁড়িয়ে নজর বুলাও চারদিকে। দেখবে চারদিকে সবুজের সমারোহ, দূরে নেমে এসেছে নীলাভ আসমান। মনে হবে সবুজ কার্পেটে নীল শামিয়ানা টেনে দিয়েছে কেউ। দূরে বুখারার ঝলমলে মহলগুলোকে মনে হবে আসমানের রওশন সিতারা।⁷
আমু দরিয়া আর সির দরিয়ার মাঝে ছিল যে জান্নাত। পাহাড়ি কিশমিশ, আখরোট, বাদাম, কোকান্দের টকটকে ডালিম। পেয়ালা ভরে সেই ডালিমের রস লোকে পান করত। সেই ডালিমের রসের পেয়ালা ভেঙ্গে যায়। শরাব সাকির রক্তে মিশে একাকার হয়ে যায়। দামগানের রক্তলাল আপেল ফ্যাকাশে হয়ে যায়। দারগানের আঙ্গুরের বাগান মৃত পড়ে থাকে। কাশানের মখমল পুড়ে ছাই হয়। ফারগানার মিহি কাপড় আরো মিহি হয়ে যায়। বাবরের ফারগানা, রাজির আরগেঞ্জ আর ইমাম বুখারির বুখারা হয়ে যায় নিস্তব্ধ শ্মশান। লক্ষ লক্ষ লাশের ভিড়ে থমকে দাঁড়িয়ে থাকে বুখারার শাহী মসজিদ।² হাজার হাজার পৃষ্ঠা ইতিহাস রচনার পর ইবনুল আসির থমকে দাঁড়ান। বলে ওঠেন, হায় আমার যদি জন্মই না হত কিংবা এর আগেই আমি মরে যেতাম! অথবা আমার অস্তিত্ব লোকে বিস্মৃত হয়ে যেত! …… একজন মুসলমান হয়ে ইসলাম ও মুসলমানের মৃত্যু ঘোষণা দেওয়া কিভাবে সম্ভব ?³
তাতারিরা নারী-শিশু-বৃদ্ধ সবাইকে মেরে ফেলে। বাদ যায় না মায়ের পেটের শিশু। ধ্বংস করে ফসলের ক্ষেত। রায় শহরেই তারা অন্তত ৭ লাখ মানুষকে হত্যা করে ।⁶ মার্ভে ১৩ লাখ, নিশাপুরে ১৫ লাখ, হেরাতে ১৬ লাখ।¹⁰ ভয়াল দানবের কথা যেখানেই যায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। সুদূর সুইডেনের মানুষ থমকে যায়। ইংল্যান্ড উপকূলে শিকারে বের হতে পারে না আর ভয়ে।⁵ গোবির স্তেপ থেকে কাস্পিয়ান সাগর পর্যন্ত লাশের স্তুপ বানিয়ে ফেলে তেমুজিন। সবার মনে এ অপরাজেয় দানবের ভয় ঢুকে যায়। এক গলিতে ঢুকে একজন তাতার সেনা ১০০ জনকে হত্যা করে। কেউ টু শব্দ করার সাহস পায় না।³ লোকেরা বলাবলি করে, এই সেই ইয়াজুজ মাজুজ না হয়ে যায় না। প্রবাদ চালু হয়,
اذا قیل لک انت الٹتے انھز موا فلا تصدق
“যদি বলা হয় তাতাররা পরাজিত হয়েছে তবে বিশ্বাস করো না”¹²
৩.
এই চরম বিপর্যয়ের ঠিক আগমুহূর্তে মুসলিম শাসকরা ছিলেন অনেকটা বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। আর মুসলিম জনপদগুলো ছিলো রং তামাশায় মত্ত। প্রচণ্ড বিশৃঙ্খলা, নেতৃত্বহীনতা আসন গেড়ে বসে। খোদ বাগদাদের খলিফার ক্ষমতা ছিল বাগদাদের ভেতরেই সীমাবদ্ধ। নীল নদের তীরে চলে খোলামেলা অশ্লীলতা। নিষেধ করার মত লোকেরও দেখা মিলত না।⁸ ৫৯২ হিজরিতে ইরাকে এবং পরের বছর শাম ও মিসরে ভয়াবহ অন্ধকারে আসমান ছেয়ে যায়। ৫৯৭ হিজরিতে নীল দরিয়ার পানি শুকিয়ে যায়। দুর্ভিক্ষ শুরু হয়। মানুষ মরতে থাকে। মিশরের বাদশাহ নিজে ১ মাসে ২ লাখ ২০ হাজার লাশ দাফন করেন। বাকিদের দাফন করা যায় না। লোকেরা কুকুর খাওয়া শুরু করে। খাদ্যের অভাবে অনেকে লাশ কেটে খায়। শাম, ইরাক আর এশিয়া মাইনরে ভূমিকম্প হয়। লাখ লাখ মানুষ মারা যায়। হিজাজ ও ইয়েমেনের মধ্যবর্তী অঞ্চলে মহামারি লাগে। ১৮ টা জনপদ সাফ হয়ে যায়। প্রত্যক্ষ করার মত একজন মানুষ বেঁচে থাকে না। আব্দুল্লাহ ইবনে হামজার ১২ হাজার সেনার ওপর বজ্রপাত হয়। শাম, খোরাসান, ইরাক, আল জাজিরা, এশিয়া মাইনরে ভূমিকম্পের পর ভূমিকম্প হয়। ৫৯৯ হিজরীর এক নিস্তব্ধ রাতে আসমান থেকে উল্কাপিণ্ড ভেঙে ভেঙে পড়তে থাকে। ইয়াজুজ মাজুজের আগে কেয়ামতের আলামত যেন সব প্রকাশিত হয়ে যায়। তাতাররা আসে ৬১৭ হিজরিতে।⁹
না। সেবার কেয়ামত হয় নি। সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজম শাহ ছিলেন একমাত্র শাসক যিনি তাতারিদের সাথে ১০ বছর প্রতিরোধ আক্রমণ করে তাদেরকে দুর্বল করে দেন। হয়তো তিনি তাতারিদের নিঃশেষ করে দিতে পারতেন, যদি বাকিরা তাকে সাহায্য করত যাদের কাছে তিনি চিঠি লিখে সাহায্য চেয়েছিলেন। একবছর তাতারদের ধ্বংসলীলার পর তিনি প্রতিরোধ শুরু করেন। ৬১৮ হিজরির ( ১২২১ ঈসায়ী) মার্চে কান্দাহারে সুলতান বিজয় লাভ করেন।¹⁰ আগস্টে গজনিতে বিজয় পান। এক বছরের মধ্যে সুলতান ও তাতারিদের ৭ টি যুদ্ধ হয় এবং প্রত্যেকটিতে সুলতান জয়ী হন।¹¹ ইয়াজুজ মাজুজ ভীতি দূর হয়।
সিন্ধুর তীরে নিলাবের যুদ্ধের পর সুলতান হিন্দুস্তানে চলে আসেন। তখন হিন্দুস্থানের শাসক শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ। সুলতান হিন্দুস্তানে দুই আড়াই বছর থাকেন। সিন্ধু ও পাঞ্জাবের অনেক শহর জয় করেন। কিন্তু তার মনপ্রাণ তাতারদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য। ৬২১ হিজরিতে সুলতান ইরাকে যান। তাতারদের আক্রমণের বিপরীতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের মনস্থ করেন। উত্তর ইরান এবং আজারবাইজানের বিস্তৃত এলাকা জয় করেন। জর্জিয়া বিজয় করেন।⁹ বাতেনীদের দমন করেন।³ ৬২৪ হিজরিতে সুলতান তাতারিদের আরেকবার পরাজিত করেন।¹³ এর কিছুদিন পর চেঙ্গিস খান মৃত্যুবরণ করেন।¹⁰ সুলতান জালালুদ্দিন ছিলেন তাতারদের বিরুদ্ধে হারামাইন এবং আল আকসার রক্ষক। তিনি না থাকলে তাতাররা হারামাইনের দিকে পা বাড়াত। এটা একমাত্র সুলতান জালালুদ্দিনই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। শুধু হারামাইন নয়, সুলতান ছিলেন ইউরোপের জন্যও নিরাপত্তাপ্রাচীর। টানা আক্রমণে তিনি তাতারদের এশিয়ার মধ্যেই আটকে ফেলেছিলেন।² আইন জালুতের প্রান্তরে তাতারিদের চূড়ান্ত পরাজয় হলেও এর মূলনায়ক ছিলেন সুলতান জালালুদ্দিন। আইন জালুতে তাতারদের সৈন্য ছিল দশ-বারো হাজার। আর সুলতান মোকাবেলা করেছিলেন চেঙ্গিস খানের কয়েক লাখের বাহিনী।
৪.
নিলাবের যুদ্ধের পর সুলতান হিন্দুস্তানে কেন আসলেন?
আসলে তিনি ইচ্ছা করে আসেননি। যুদ্ধ হয় সিন্ধুর তীরে। একদিকে পাহাড়, অপরদিকে খরস্রোতা সিন্ধু। যুদ্ধের প্রচণ্ডতা চরমে। চেঙ্গিস খানের পঙ্গপালের মত বাহিনীর বিপরীতে সুলতানের বাহিনী অত্যন্ত ছোট। সুলতান নৌকার খোঁজ করলেন। সর্বসাকুল্যে একটা নৌকা মিলল। পরিবারের মহিলাদের নৌকায় তুললেন সুলতান। তীর থেকে একটু এগিয়েই নৌকা ডুবে গেল। অনেক কষ্টে তাদের উদ্ধার করা হলো। যুদ্ধের তৃতীয় দিন তীব্র লড়াই শুরু হল। সুলতানের ছোট্ট বাহিনী কৌশলের সাথে মোকাবেলা করছিল। সুলতান রক্ষণব্যূহ ভেদ করে চেঙ্গিস খানকে আক্রমণ করেন। খান পালিয়ে যায়। যুদ্ধের প্রচণ্ডতায় সুলতানের বাহিনী সংকুচিত হয়ে সীমিত একটা এলাকায় আবদ্ধ হয়। আচমকা সুলতানের ৭ বছর বয়েসি ছেলে বন্দি হয়। চেঙ্গিস খান তাকে হত্যা করেন। সুলতানের মা বলে ওঠেন, জালাল আমাদের হত্যা করে ফেলো। শত্রুর হাতে বন্দি হওয়া থেকে বাঁচাও। সুলতান বুকে পাথর বাঁধলেন। নদীতে উত্তাল তরঙ্গ। পরিবারের মহিলাদের সিন্ধুর উত্তাল তরঙ্গে নিক্ষেপ করলেন। মুহূর্তেই বিলীন হয়ে যায় তার পরিবার।¹³ ¹⁴ সেদিন সুলতান কেঁদেছিলেন কিনা তা আমরা জানি না। নিলাবের প্রান্তর হয়তো জানে তার বুকে রক্তের সাথে একফোটা পানিও পড়েছিল।
সুলতানের বেশিরভাগ সেনা নিহত হয়ে যায়। আক্রমণ করতে করতে সুলতান উঁচু একটা টিলায় উঠলেন। টিলার ডানপাশে সিন্ধু নদ। বামদিকে তাতারসেনা। সুলতান অবিশ্বাস্য একটা সিদ্ধান্ত নিলেন। ঘোড়ার লাগাম শক্ত করে ধরে বিসমিল্লাহ বলে উত্তাল তরঙ্গে ঝাঁপ দিলেন। ১৮০ ফুট উপর থেকে তার লাফ দেওয়া তাতাররা হা হয়ে দেখছিল।¹⁵ উড়ন্ত পাখি যেমন নেমে আসে মাটিতে, সুলতান ঘোড়াসহ নেমে এলেন সিন্ধুর তরঙ্গে। বিকট শব্দ হলো। চারিদিকে পানির ফোয়ারা উঠল। সব সুনসান হয়ে গেল। একটু পড়ে সুলতান সাঁতরে অন্যপাড়ে চলে এলেন। চেঙ্গিস খানের লেখক আতা মুলক লিখল, ধরনীর বুকে এমন যুবক আর কখনো দেখা যায়নি। আর কারো ব্যাপারে এমন আমরা শুনিনি।¹⁶ সিন্ধুতীরও হয়তো এমন ঘটনা আর দেখেনি। নদীর এপার থেকে সুলতান জীবনের প্রথম বিকট অট্টহাসি দিলেন। বাতাস সে হাসি পৌঁছে দিল তেমুজিনের কানে। তার কানে এ শব্দ বিঁধল ব্যার্থতার করুণ সুর হয়ে।² দুইজন দুইজনের দিকে তাকিয়ে রইল দুই তীর থেকে। তেমুজিনের পাশে তার দুইছেলে উকতাই আর চুকতাই বসা। তেমুজিন স্বগতোক্তি করল, বেটা হো তো এ্যায়সা।¹⁷ যে বাপ এমন পুত্রের জন্ম দিয়েছে তাকে সালাম।¹⁸
রাত নেমে এলো সিন্ধুতীরে। ঘন অন্ধকারে ছেয়ে গেল চারপাশ। এরকম রাতে সন্তর্পণে হিন্দুস্থানে প্রবেশ করলেন সুলতান জালালুদ্দিন। ²
৫ .
চেঙ্গিস খান কেন খাওয়ারিজম আক্রমণ করলেন? এ প্রশ্ন মনে জাগা স্বাভাবিক। দুঃখজনক হলেও সত্য খাওয়ারিজম আক্রমণের জন্য তেমুজিনকে চিঠি লিখেছিলেন বাগদাদের খলিফা নাসির। আমিরদের অনেকে সতর্ক করে বলেছিল, আজ তাকে খাওয়ারিজম আক্রমণের সুযোগ দিলে কাল সে বাগদাদ আক্রমণ করবে না এর নিশ্চয়তা কে দেবে? খলিফা নিশ্চিন্ত হয়ে বলেছিলেন, সে আমাদের কাছে আসতে অন্তত ৫০ বছর লাগবে। এর আগেই খাওয়ারিজম এর দফারফা হয়ে যাবে।
আশ্চর্যজনকভাবে খলিফা নাসিরের এই কথা সত্য হয়েছিল। এই চিঠি লেখার ৫০ বছর পর ৬৫৬ হিজরিতে হালাকু খান বাগদাদ আক্রমণ করে। খলিফা মুনতাসির বিল্লাহ তখন আমোদ প্রমোদে ব্যস্ত। তার প্রিয় দাসী আরাফার নৃত্য উপভোগ করছেন। হঠাৎ তীরের আঘাতে পড়ে যায় তার দাসী আরাফা। ৪০ দিন ধরে বাগদাদে চলে গণহত্যা। ১৬ লাখ মানুষ নিহত হয়। বাইতুল হিকমাহ ধ্বংস করে দেয়া হয়। বইয়ের কালিতে দজলা নদী কালো হয়ে যায়। আব্বাসী খিলাফত ধ্বংস হয়ে যায়। বাগদাদে আক্রমণ করার জন্যও হালাকু খানকে চিঠি লিখেছিল আলকামী এবং উৎসাহিত করেছিল নাসিরুদ্দিন তুসী। তারা খলিফার আশেপাশেই ছিল। খলিফা নাসির, আলকামী এবং তুসী–এই তিন বুযুর্গের মধ্যে আবার একটা জিনিস কমন। তিনজনই ছিলেন শিয়া।
তথ্যসূত্র:
¹ আন নুজুমুজ জাহিরা
² সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারিজম শাহ [ইমরান রাইহান অনুবাদকৃত ]
³ আল কামিল ফিত তারিখ
⁴ তারিখুল ইসলাম
⁵ দ্য ডিক্লাইন এ্যান্ড দ্য ফল অব রোমান এম্পায়ার
⁶ মিরসাদুল ইবাদ
⁷ সুরাতুল আরদ
⁸ আস সুলুকু লি মারিফাতি দুওয়ালুল মুলুক
⁹ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া
¹⁰ রওজাতুস সাফা
¹¹ তারিখে গজিদাহ
¹² তারিখে দাওয়াত ওয়া আজিমত
¹³ সিরাতু জালালুদ্দিন
¹⁴ তারিখে ইবনে খালদুন
¹⁵ তারিখে খাওয়ারিজম শাহী
¹⁶ আফগানিস্তান দর মাসিরে তারিখ
¹⁷ তারিখে জাহাকুশা
¹⁸ চেঙ্গিস খান