ময়মনসিংহের ত্রিশালে হত্যার পর গর্তে পুঁতে রাখা তিন মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত নারী আমেনা বেগম (৩০) এবং দুই ছেলে আবু বক্কর (৪) ও আনাস (২)। ঘটনার পর থেকে আমেনার স্বামী আলী হোসেন পলাতক রয়েছেন।
ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী আমেনা বেগম। দুই শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার পর আলী হোসেন নির্জন স্থানে পুঁতে রেখে যায় এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। আলী হোসেন ওই গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। আমেনা খাতুন সাখুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে।
জানা গেছে, গত ৬ বছর আগে আলী হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ফুফাতো বোন আমেনার। এলাকার একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাতেন আমেনা। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত থেকেই তিনি নিখোঁজ হন।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ত্রিশালের কাকচর নয়াপাড়া এলাকার একটি পুকুরপাড়ে পতিত জমির গর্তে ২ শিশু ও এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। রাতে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর আমেনার মা হাসিনা খাতুন ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দেন।
পুলিশ জানায়, নিজে কোনো কাজ না করে ঘুরে বেড়াতেন আলী হোসেন। এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকা দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন আলী হোসেন। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী টাকা দিতে না চাওয়ায় স্ত্রীকে গার্মেন্টসে নিয়ে যাওয়ার নামে দুই শিশু সন্তানসহ হত্যার পর মরদেহ রাতের বেলায় নির্জন স্থানে নিয়ে পুঁতে রাখে।
জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা বলেন, অভিযুক্ত আলী হোসেন এর আগেও ধর্ষণসহ হত্যা মামলায় সাত বছর কারাগারে ছিলেন। স্ত্রী ও দুই ছেলে হত্যার ঘটনায় তাকে আটকের কাজ করছে পুলিশ।