
নিজস্ব প্রতিবেদক;
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঘোষিত আগামী ৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ সফলতার লক্ষ্যে আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বাদ এশা মাদরাসাতুল হিকমাহ মিলনায়তনে বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহঅর্থ সম্পাদক ও বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি কামালুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর সহ স্বেচ্ছাসেবাবিষয়ক সম্পাদক ও বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সুহাইল সাদী’র যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবু সালেহ রহমানি,সহ-সভাপতি মাওলানা হারুন অর রশিদ, মাওলানা ইদ্রিস কাসেমী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ, মাওলানা তাওহীদুল ইসলাম আজিজী, মাওলানা জাফর আমিন, মাওলানা সাইদুল ইসলাম আজাদী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা জাহিদুল ইসলাম,তুরাগ থানা কমিটির উপদেষ্টা মাওলানা আলী আহমদ কাসেমী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা আবু তালহা মাসুদ, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খাইরুল ইসলাম খান জিহাদি , মাওলানা আমিনুল হাসান উত্তরখান থানা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ আড়াই হাজারী, তুরাগ থানা সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, উত্তরা পূর্ব থানা মাওলানা ইলিয়াস আহমদ ও বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের প্রচার সম্পাদক মাওলানা ফজলুল হক প্রমুখ।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, মোদিবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ বিভিন্ন সময় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার এবং হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। শাপলা ও জুলাই জেনোসাইডের অপরাধে আওয়ামীলীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপসারণ করতে হবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় বহুত্ববাদের প্রস্তাবনাকে প্রত্যাখ্যান করে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই প্রস্তাবনা বাতিল করে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম সংযোজন করতে হবে।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় আপত্তিকরভাবে ধর্মীয় বিধিবিধান, বিশেষ করে ইসলামী উত্তরাধিকার ও পারিবারিক আইনকে নারীর প্রতি বৈষম্যের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রস্তাবনা বাতিলের পাশাপাশি পুরো কমিশন বাতিল করতে হবে। প্রস্তাবিত নারীনীতি বাতিল না হলে, ২০১৩ সালের মতো আবারও রাজপথে তৌহিদি জনতার গণবিস্ফোরণ ঘটবে। ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো নীতিমালা এদেশে বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।
তারা আরও বলেন, প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার আগে ইসলামের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করলেও পরে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী নীতিমালা বাস্তবায়নে লিপ্ত হয়। ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট যদি সেই পথে হাঁটার চেষ্টা করে, দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। ফিলিস্তীন ও ভারতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তারা।