
আজ (৫ মে’২৫’ সোমবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডক্টর আব্দুল্লাহ ফারুক হলে অনুষ্ঠিত হলো “শাপলার জাগরণ থেকে চব্বিশ এর ইনকিলাব: নতুন বাংলাদেশের নির্মাণযাত্রা” শীর্ষক সেমিনার। এই আয়োজনে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাংবাদিক ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য হিসেবে মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যেভাবে তারা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল তা ইতিহাসে নজিরবিহীন । ছাত্ররাই যেকোনো বিপ্লব ঘটাতে পারে, তাই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে আগামীতে ইসলামী বিপ্লব ঘটানোর জন্য নিজেকে দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক বিশিষ্ট কবি ও গবেষক মুসা আল হাফিজ সাহেব বলেন: “নতুন বাংলাদেশ কেবল একটি রাজনৈতিক স্বপ্ন নয়; এটি একটি আদর্শিক ও নৈতিক পুনর্জাগরণের নাম। এই যাত্রা ত্যাগ ও সংগ্রামের এবং এর কেন্দ্রবিন্দু হলো সাধারণ মানুষ ও তাদের অধিকার।”
তিনি শাপলা গনহত্যার বিচার চেয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ৫মে কে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করার কথা বলেন। একই সাথে তিনি ’শাপলা ফাউন্ডেশন’ গঠন করার জোর তাগিদ দেন।
এ এছাড়াও আরো আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর খলিফা মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জনাব জহিরুল ইসলাম, এমআইএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব আরিফুল ইসলাম অপু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা নজির মাহমুদ।
আলোচকগণ ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের স্মরণীয় জাগরণ এবং ২০২৪ সালের ইনকিলাবের মধ্যকার ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা তুলে ধরেন। তারা বলেন, শাপলার জাগরণ ছিল এক ঐতিহাসিক মোড়, যা দীর্ঘ এক দশক ধরে গণচেতনাকে জাগ্রত রেখে এক নতুন পরিবর্তনের ভিত্তি গড়ে দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে জনতার জাগরণে সূচিত হয়েছে একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায় — যে অধ্যায়ের মূলমন্ত্র হচ্ছে ইনসাফ, আদর্শ, এবং জাতীয় পুনর্গঠন।
তরুণ প্রজন্মের ভূমিকাকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়, যাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই পরিবর্তনের অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।