সমাজের প্রায় ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ম্যানস রাইটস ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির পরিসংখ্যার অনুযায়ী, বিগত ৯ বছরে সারা দেশে ৪ হাজার ২৬৮ জন ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ৩২৮ জন পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবে প্রকৃত পুরুষ নির্যাতনের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ম্যানস রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএমআরএফ) চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম সোহেল এ তথ্য জানান।
নির্যাতনের সত্যতা পায়নি পুলিশ। তবুও আমাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়েছে। তখন উপলব্ধি করতে পারি, আমার মতো হাজার হাজার পুরুষ এভাবে হয়রানির শিকার হয়ে আসছে। ফলে মামলার ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু করেছি। অবশেষে বিয়ের কাবিনের দ্বিগুণ টাকা পরিশোধ করে সেই মামলা মিটমাট করেছি।
তবে মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সহসভাপতি অ্যাডভোকেট হাসিনা পারভীন কালবেলাকে বলেন, আমাদের সমাজে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে সাইবার ক্রাইম বেশি হচ্ছে। যে কারণে বর্তমানে আইন নারীদের পক্ষে। তবে কিছু অসাধু নারী সেই আইনের অপব্যবহার করছে। তবে এই সংখ্যা অনেক কম। তাছাড়া আমরাও চাই প্রকৃত অপরাধী শাস্তি পাক। নারীদের পাশাপাশি পুরুষেরও তার অধিকার পাওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবুল কালাম আজাদ জাকির কালবেলাকে বলেন, আমাদের দেশে যৌতুককে কেন্দ্র করে যেসব মামলা হয় তার অধিকাংশ মূলত অন্য কোনো কারণে মামলাগুলো করা হয়। সেক্ষেত্রে মামলাগুলোর অপপ্রয়োগ হয়। ভারত উপমহাদেশের বেশিরভাগ দেশ পুরুষতান্ত্রিক হওয়অর ফলে বিগত সময়ে নারীরা নির্যাতনের শিকার হতো। যার ফলে নারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নারী নির্যাতনসহ নানা আইন হয়েছে। এখন সেসব মামলাকে পুঁজি করে অনেক নারী মিথ্যা মামলা দিয়ে অপপ্রয়োগ করে আসছে। দেখা গেল যে, অনেক স্বামী-স্ত্রী মশারি টানানো নিয়ে ঝগড়া করেছে। এ নিয়ে ওই নারী নির্যাতনের মামলা ঠুকে দিয়েছে। ফলে এভাবে অপব্যবহার হচ্ছে। তবে আইন সবার জন্য সমান।