শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
যুবকণ্ঠ ডেস্ক;
ভাস্কর্যকে ইসলাম বিরোধী বক্তব্য দেয়ার কারণে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ৩ মার্চ নতুন তারিখ ধার্য করেছে আদালত।
বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি বলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৭ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাদী বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেকের মামলায় একমাত্র আসামি মাওলানা মামুনুল হক।
আরেকটি মামলার বাদী মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এই মামলার আসামিরা হলেন- মাওলানা মামুনুল হক, সৈয়দ মুফতী ফয়জুল করিম ও মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর বিএমএ মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুব খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর শাখার সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে মামুনুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে লাশের পর লাশ পড়বে। আবার শাপলা চত্বর হবে।’
হেফাজতের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী ২৭ নভেম্বর হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক মাহফিলে বলেন, ‘আমার বাবার ভাস্কর্য তৈরি হলে তা টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেব।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে বিরোধিতা করে ইসলামের বিধান তুলে ধরে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১২০বি, ১২০ বি ও ১২৪ক ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।