মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
কুমিল্লা থেকে রবিউল আউয়াল-
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের একটি গ্রাম রামচন্দ্রপুর। প্রায় ২ শত বছরের পূরনো তিতাস নদীর বাঁকে বাঁকে ঘেঁষা এ ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুরের বাজার, এ বাজার কে ঘিরে গড়ে উঠেছে এলাকার বিস্তির্ণ জনপথ। বাজারে আরো রয়েছে, ২০০ বছরের পুরোনো মুঘল স্থাপত্য যেটা এই প্রত্যঞ্চলের সবচেয়ে পুরানো মুঘল স্থাপত্যশৈলী। কিন্তু , স্থাপনাটি রক্ষায় কার্যকরী তেমন পদক্ষেপ আসে নি।
১৯৬৮ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় : কুমিল্লার অন্যতম প্রধান লঞ্চঘাট “রামচন্দ্রপুর লঞ্চঘাট” দিয়েই নারায়নগঞ্জ হয়ে ঢাকার ধানমন্ডি তার নিজ বাসভবনে পৌঁছে ! এক সময় মুরাদনগর, কোম্পানীগঞ্জ, নবীনগর,বাঙ্গরা,হোমনাসহ এলাকার ছোট বড় সকল বাজারগুলি নিয়ন্ত্রণ হত এ বাজারের মাধ্যমে ।
একসময় ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী আরামদায়ক যাত্রা ছিল লঞ্চের মাধ্যমে নৌ পথে, রাস্তাঘাটের ব্যপক উন্নয়ন হওয়ায় আজ তাও বিলীন হওয়ার পথে। একসময় ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, জিন্জীরাসহ সারা দেশ থেকে সারি সারি পালতোলা বাদাম নৌকা নিয়ে সপ্তাহ হাট সহ প্রতিদিন অগনিত পাইকাররা বাজারটিতে পারি জমাতো – ব্যবসায় পরিচালনার জন্য। কিন্তু, আজ কালের পরিক্রমায় দিন দিন হারাতে বসেছে এর ঐতিহ্য। বাজার থেকে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামে ব্রাক্ষমবাড়ীয়া সহ সারা দেশে যাতায়াতের সু ব্যবস্থা থাকলেও বাজারের অভ্যন্তরে ও আশেপাশের রাস্তার বেহাল দশার কারনে ভোগান্তি বেড়ে গেছে, প্রতিবছর ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় আংশিক সংস্কার কাজ হয়ে থাকে ।
ভুক্তভোগীরা বলেন সমস্ত মুরাদনগরের ব্যপক উন্নয়ন হলেও এ বাজারের ভিবিন্ন রাস্তা টি প্রায় একযোগ ধরে বেহাল অবস্থায় থাকায় এলাকাবাসী সকলেরই কষ্ট হচ্ছে। বাজারের প্রধান কার্যক্রম সপ্তাহিক হাট – প্রতি মঙ্গলবার হয়ে থাকে।
হাটে আসা ভুক্তভোগীরা আরো জানায়- হাটের ধার্যকৃত ইজারা তথা খাজনা থাকার পরেও অতিরিক্ত খাজনা আদায় , স্থানীয় কিছু দালালের হয়রানি, সোয়ারেজ ড্রেন অপরিচ্ছন্ন, অসাস্থ্যকর পরিবেশ, বাজারে মালামাল পরিবহনে বিকল রাস্তাঘাট সহ নদীপথে পরিবহনেও তেমন ঘাটলা না থাকায় তারা এ অঞ্চলের পাইকারি এ বাজারটিতে আসতে চায় না ।
এ বাজারটি যেন তার আগের ঐতিহ্য ফিরে পায় , এর জন্য মাননীয় এমপি আলহাজ্ব ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ মহোদয়ের সু দৃষ্টি কামনা করেন। এবৎ স্থানীয় দায়িত্ববান সকল ব্যাক্তিবর্গদেরও দৃষ্টি কামনা করেন। এলকাবাসী দীর্ঘ দিনের ভোগান্তির অবসান চায়।