শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১৫ অপরাহ্ন
সৈয়দ শামছুল হুদা
একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, একটি অপশক্তি বাংলাদেশের সাহিত্য -সংস্কৃতির ময়দানটাকেও পরিকল্পিত উপায়ে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য নানামুখী চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো একুশে বইমেলাকে ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। ইসলামী বই নিষিদ্ধ বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসে গণমানুষের মধ্যে বইমেলার বিষয়ে এক ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ বইমেলা নিয়ে নানামুখী চক্রান্ত করে যখন সফল হচ্ছিল না তখনই মনে হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে নীলক্ষেতে আগুন লাগানো হয়েছে।
বাংলাদেশের শিক্ষার মান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। দীপু মনির শাসনামলে স্কুল-কলেজের মেয়েরা এখন হাসাহাসি করে। এখন চাইলেও কেউ ফেল করতে পারে না। ফেল করার কোনো সুযোগ নেই। এর অর্থ সেখানে লেখাপড়া ছাড়াই এখন শুধু সনদবাজি হচ্ছে। বাংলাদেশের দুটি শিক্ষার আন্তর্জাতিক সুনাম ছিল। একটি হলো মেডিকেল অন্যটি হলো ইঞ্জিনিয়ারিং। বিগত কয়েকটি বছর ধরে সেখানেও কুচক্রী মহল হানা দিয়েছে। আবরারকে হত্যার মাধ্যমে বুয়েট কে কলঙ্কিত করেছে। শুধু এটাই নয় বাংলাদেশের সকল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলোতে কুচক্রী মহল হানা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে এ দুটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। মেডিকেলে ছাত্রদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। মেধাহীন অযোগ্য ছাত্রদের শুধু সনদবাজি করে সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং আলিয়া মাদ্রাসার লেখাপড়ার মান একেবারেই নিচে নেমে গেছে।
এটা করা হয়েছে সুদুরপ্রসারী চক্রান্তের অংশ হিসেবে। তথাকথিত আদর্শবাদী বাম রাজনীতিবিদ নুরুল ইসলাম নাহিদ থেকে শুরু করে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বাকচাতুর্যের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার মূল উপড়ে ফেলছে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষা নিয়ে যেন চক্রান্তের কোনো শেষ নেই। উচ্চশিক্ষার কথা যতটা না বলা যায় ততই ভালো। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে শিক্ষাব্যবস্থার। ছাত্রদের মধ্যে হতাশা এমন ভাবে গ্রাস করেছে, যে কারণে শত শত ছাত্র-ছাত্রী নানা সময়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।বিশেষ করে বিগত কয়েক বছরের বইমেলা নিয়ে চক্রান্ত টা আমরা ধরতে পারিনি। এ বছরও চরম অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়ে বইমেলার ইমেজটাই নষ্ট করে দিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কিছু ভদ্রবেশী মানুষ ঠান্ডা মাথায় আমাদের পায়ে কুড়াল মারছে। বইমেলায় ইসকনের স্টল থাকে। নিষিদ্ধ হয় ইসলামী বই। অজুহাত জঙ্গীবাদ। এটা একটি কুফরী বক্তব্য। চরম মুসলিম বিদ্ধেষী মানুষগুলোই সকল ক্ষেত্রে জঙ্গিবাদ- মৌলবাদ খুঁজে।
মূলতঃ তাদের মস্তিষ্ক অন্যের পায়ে সপে দেয়া।দেশের শিল্প শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে সকলেই সোচ্চার হোন। চক্রান্তের গভীরতা বুঝতে চেষ্টা করুন। একটি বৃহত্তম জাতীয় আত্মহত্যার উৎসব থেকে ফিরে আসুন।