শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন
যুবকণ্ঠ ডেস্ক:
প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত সওয়াব আছে। যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার ক্ষেত্রে সওয়াব বা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি অন্য সকল আমলের সাওয়াব থেকে আলাদা। কারণ, রোজার সাওয়াব বা প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ দেবেন।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, রমজানে মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকীর সাওয়াব দশগুণ থেকে সাতাশ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোজা আলাদা। কারণ, তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে’ (মুসলিম শরিফ: ১১৫১)।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য একটি হাদিসে ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, বান্দা একমাত্র আমার জন্য তার পানাহার ও কামাচার বর্জন করে রোজা রেখেছে আমারই জন্য। আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব, আর (অন্যান্য) নেক আমলের বিনিময় হচ্ছে তার দশ গুণ’ (বোখারি শরিফ: ১৮৯৪)।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, আল্লাহ তায়ালা নিজের ওপর অবধারিত করে নিয়েছেন, যে ব্যক্তি তার সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন। (মুসনাদে বাযযার: ১০৩৯)
হাদিসে কুদসি-তে এসেছে, আল্লাহতায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই রোজা আমার জন্য, আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব।(সহিহ মুসলিম : ১১৫১/১৬৫)।