মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৫:২০ অপরাহ্ন
যুবকণ্ঠ ডেস্ক:
ফ্যাসিবাদী অত্যাচারী স্বৈরশাসকেরা যখন ক্ষমতা হারানোর ভয় পায়, তখন পাগলের মতো আচরণ করে। নিরীহ অসহায় সাধারণ মানুষগুলোর উপরও জুলুম নির্যাতন শুরু করে। ভিন্ন মতকে দমনের জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে। জেল জুলুম আর অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দেশের মানুষকে দমিয়ে রাখার নগ্ন খেলায় মেতে উঠে। কী অপরাধ ছিল কারাবন্দী উলামায়ে কেরামের?কোন দোষে তাঁদেরকে দিনের পর দিন কষ্ট যাতনার দুর্বিষহ জীবন পার করতে হচ্ছে? এই অকথ্য জুলুম নির্যাতন,নিপিড়ন মেনে নেওয়া যায় না। আমাদেরকে জুলুমতন্ত্রের বিরুদ্ধে সমস্ত ভয়-ভীতিকে দু পায়ে দলে সত্য সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মনবল হারানোর যেমন কোন সুযোগ নেই, হীনমন্যতারও কোন অবকাশ নেই। আমাদের সংগ্রামী পথচলার ইতিহাসে হতাশা-হীনমন্যতা বলতে কোন শব্দ নেই। কারাবন্দী আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিন। নয়তো যেকোন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ছাত্র ও সাধারণ জনতার ভিতর স্বৈরাচার বিরোধী ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এর বিস্ফোরণের দায়ভার আপনাদেরই নিতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস মানিকগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত “মুমিন জীবনে মাহে রমজানের শিক্ষা” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাহমুদুল হাসান।
গতকাল (২৮ এপ্রিল, ২৬ রমজান, বৃহস্পতিবার) বেলা চারটা থেকে মানিকগঞ্জ টাউনে উক্ত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। খেলাফত ছাত্র মজলিস মানিকগঞ্জ জেলা শাখা সভাপতি মুহাম্মাদ রমজান মাহমুদের সভাপতিত্বে এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ্জী হুজুর রহ.সেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা রজীবুল হক হাফিযাহুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস মানিকগঞ্জ জেলা শাখা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ আল মাহমুদ, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস কেন্দ্রীয় তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আনওয়ার হুসাইন রিয়াদ, যুব মজলিস মানিকগঞ্জ জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, বন্ধু ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি মুহাম্মাদ ইন্জিনিয়ার ইসহাক আহমাদসহ বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ও ছাত্র মজলিস মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ।