শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১৩ অপরাহ্ন
সুন্দরবন থেকে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে আসা একটি বিশাল আকৃতির অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। বুধবার সকালে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের আ. রাজ্জাক হাওলাদারের বাড়ির হাঁস-মুরগির খুপি ঘরের ভিতর থেকে ১২ ফুট লম্বা অজগরটি উদ্ধার করে সুন্দরবন সুরক্ষায় নিয়োজিত কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপের (সিপিজি) সদস্যরা।
উদ্ধারের আগে ক্ষুধার্ত অজগরটি হাঁস-মুরগির খুপি ঘরে থাকা ৩টি রাজহাঁস এবং ১টি পাতিহাঁস খেয়ে ফেলে। বিকালে উদ্ধার করা এই অজগর সাপটি বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন এলাকার বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
সুন্দরবন সংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের গৃহকর্তা আ. রাজ্জাক হাওলাদার জানান, বুধবার খুব সকালে হাঁস-মুরগির অস্বাভাবিক ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙে বাড়ির লোকজনের। আমরা বুঝতে পারি সাপ বা বনবিড়াল জাতীয় কিছু একটা ঢুকেছে হাঁস-মুরগির খুপি ঘরে। এগিয়ে গিয়ে খুপির মুখ খুলেই ভেতরে দেখতে পান বিশাল এক অজগর সাপ। অজগরটি ৩টি রাজাহাঁস এবং ১টি পাতিহাঁস খেয়েই সেখানে অবস্থান করছে। তাৎক্ষনাত মোবাইলে ফোনে খবর দেয়া হয় সুন্দরবন সুরক্ষায় নিয়োজিত কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপের (সিপিজি) দলনেতা খলিল জমাদ্দারকে। খবর পেয়ে সিপিজি’র দলনেতা কয়েকজন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ৭টার দিকে হাঁস-মুরগির খুপি ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করেন অজগরটি।
সিপিজির দলনেতা মো. খলিল জমাদ্দার জানান, অজগরটি ৩টি রাজহাঁস এবং ১টি পাতিহাঁস খেয়ে নড়াচড়া বা চলার মতো অবস্থায় ছিলনা। হাঁসগুলো খেয়ে হজম করতে পারেনি। মুরগির খোপ থেকে ধরে বাইরে আনার পর ৪টি হাঁসই আবার মৃত অবস্থায় অজগরের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে। উদ্ধারকৃত অজগরটি বিকেলে সুন্দরবন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান সিপিজির ওই দলনেতা।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আসাদুজ্জামান জানান, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের আ. রাজ্জাক হাওলাদারের বাড়ীর হাঁস-মুরগির খুপি ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করা অজগরটি বুধবার বিকালে সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন এলাকার বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।